কাগজ ছিঁড়ে বিপাকে সাংসদ, অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড হলেন শান্তনু সেন
শান্তনু সেনের সাসপেন্ডের ইস্যুকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর (Ashwini Vaishnaw) হাত থেকে বক্তৃতার কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen)। এরপরেই সৃষ্টি হয় বির্তকের। তবে সমস্ত বির্তকের ঝড় শেষ করতেই অবশেষে শুক্রবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু (Venkaiah Naidu) জানিয়ে দিলেন, কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলার অপরাধে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিনের অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই চেয়ারম্যান তথা উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু জানিয়ে দেন, ১২টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি রাখা হল। প্রসঙ্গত, 'অগণতান্ত্রিক এবং অসংসদীয়’ আচরণের জন্য শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গতকাল সংসদের বাদল অধিবেশনের তৃতীয় দিনে অব্যাহত পেগাসাস বিতর্কের মাঝেই তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন, অশ্বিনী বৈষ্ণোর হাতের কাগজ টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। পরে তিনি সেটি ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহের আসনের দিকে ছুঁড়ে দেন। এরপরেই বিরোধীদের প্রতিবাদ তীব্র হয়ে ওঠে। পরে মার্শালের সাহায্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। এরপর অধিবেশন শুরু হলে শান্তনুর শাস্তির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন বেঙ্কাইয়া। তিনি বলেন, "অগণতান্ত্রিক এবং অসংসদীয় আচরণের জন্য অভিযুক্ত সাংসদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।"
তবে শান্তুনুবাবুকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন অভিযোগ করেন, "বৃহস্পতিবার কাগজ ছেঁড়ার ঘটনার পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী নিজের আসন ছেড়ে শান্তনুর দিকে তেড়ে গিয়ে, অসংসদীয় বাক্য প্রয়োগ করেছিলেন। তাহলে তিনি কেন ছাড় পেলেন?" অন্যদিকে শান্তনু সেনকে সাসপেন্ডের ইস্যুকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের আরেক সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর অভিযোগ, "বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে সরকার।"