মোদীর ব্যর্থতা তুলে ধরেছিল 'দৈনিক ভাস্কর', কণ্ঠরোধেরই প্রচেষ্টা, মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী
সম্প্রতি কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে দৈনিক সংবাদপত্র 'দৈনিক ভাস্কর'-এর একাধিক অফিসে হানা দিয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা
গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের ওপর রাশ টানতে এবার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে দৈনিক সংবাদপত্র 'দৈনিক ভাস্কর'-এর একাধিক অফিসে হানা দিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। অন্তত এমনটাই মনে করছেন রিরোধী রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিল্লি, ভোপাল, জয়পুর, আমদাবাদ-সহ 'দৈনিক ভাস্কর' পত্রিকার বেশ কয়েকটি অফিসে হানা দিয়ে তল্লাশি চালানো আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। অভিযোগ, কর ফাঁকি দেওয়ার। এরপর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) নিশানা করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সহ আরও অনেকেই।
তবে নিশানা কেন কেন্দ্রের দিকে? প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে দেশ জুড়ে চলা চরম অব্যবস্থা নিয়ে লাগাতার লেখালেখি চলেছিল 'দৈনিক ভাস্কর’-এ। এমনকি গঙ্গার জলে পাওয়া লাশ নিয়ে চলা লেখালেখিতেও এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছিল 'দৈনিক ভাস্কর’। কাজেই, বিরোধী দলনেতাদের দাবি, সরকারের তরফে সে সময়ে যা যা দাবি করা হয়েছিল, সেই সমস্ত দাবিকে অগ্রাহ্য করে সত্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল এই সংবাদপত্র। তার জেরে সরকারের অস্বস্তি বেড়েছিল। আর তাই সংবাদপত্রের কন্ঠরোধে মরিয়া কেন্দ্র।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এই ইস্যুতে লেখেন, "মোদী-শাহ যে ভয় পেয়েছেন, তার আরও একটি প্রমাণ। যে সব মিডিয়ার মেরুদণ্ড রয়েছে, তারা শক্ত থাকুন।"
এ প্রসঙ্গে টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, "দেশের সাংবাদিক এবং সংবাদমাধ্যমগুলির উপর আক্রমণ গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধেরই প্রচেষ্টা। অতিমারি পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যর্থতাই তুলে ধরেছিল দৈনিক ভাস্কর। যারা সত্য তুলে ধরছে, তাদের মুখ বন্ধ করার এই প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা করছি। মিডিয়ার সঙ্গে যুক্তদের বলব, আপনারা শক্ত থাকুন। আমরা একসঙ্গে থাকলে স্বৈরাচারি শক্তি কোনও দিনই জিততে পারবে না।"