মোদি ভাষণ দিতেই ব্যস্ত, এবার মন কি বাত বন্ধ করুন, কোভিড নিয়ে কথা বলুন : মুখ্যমন্ত্রী
বাংলাকে যদি এতই ভালবাসো, তাহলে ওষুধ দিচ্ছো না কেন? সোনার বাংলা করবে বলছো, তাহলে এত কম ভ্যাকসিন কেন? প্রশ্ন মমতার
এদিন করোনা পরিস্থিতি এবং বিনামূল্যে টিকাকরণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী 'মন কী বাত' অনুষ্ঠানে বলেন, 'গুজবে কান দেবেন না। বিনামূল্যেই ভ্যাকসিন মিলবে।' এছাড়াও করোনার সাথে ফের লড়াই করার কথা নিয়েও ভাষণ দেন। এরপরেই এদিন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের একটি অডিটোরিয়ামে প্রচারে ভাষণ দিতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রীর আজকের ভাষণ নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন। দেশে চলতি অক্সিজেন ও ওষুধের সংকট নিয়ে কেন্দ্র তথা প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "অক্সিজেন নেই, ইঞ্জেকশন নেই, এখনও মন কি বাত করে চলেছেন। এখন মন কি বাত বন্ধ করুন, কোভিড নিয়ে কথা বলুন। কেন্দ্র যে ওষুধ পাঠাচ্ছে, তা খুবই কম। মোদি তো ভাষণ দিতেই ব্যস্ত, ভাষণ দিয়েই চলে গেল। এতদিন ভ্যাকসিন দিলে তো এতটা খারাপ পরিস্থিতি হত না। ৮০টা দেশকে ভ্যাকসিন দিল বিনা পয়সায়, আর এখানে কিনতে হচ্ছে।"
এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষদের উদ্দেশ্য বলেন, "করোনাকে ভয় পাবেন না, সতর্ক থাকুন। শুধু মাস্ক পরলেই হবে না, ঠিক করে পরতে হবে। অনেকে মাস্ক পরেন কিন্তু নাক খোলা, তাহলে কী লাভ? মাস্ক পরুন। সচেতন হতে হবে।" এরপরেই আট দফায় ভোট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, "ভোটে টাকা ছড়াচ্ছে বিজেপি, তাও কমিশন কিছু দেখছে না। পরিকল্পনা করে ৮ দফায় ভোট করেছে। বারবার বলা হচ্ছে বাকি ভোট একদফায় করুন, তাও করছে না। আমাদের পুলিশের ব্রেনটা গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন যা বলছে করছে। ভোটের পর কিন্তু আমরাই থাকব। যা নির্বাচন হচ্ছে, তাতে তৃণমূলের বিকল্প নেই, তৃণমূলই থাকবে। সামশেরগঞ্জেও কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ১৩ তারিখ ভোট ফেলেছিল, আমরা প্রতিবাদ করায় ১৬ তারিখ করেছে।"
তাঁর অভিযোগ, "বিজেপি শুধু হিংসা ছড়ায়। বাংলাকে যদি ভালবাসো, তাহলে ওষুধ দিচ্ছো না কেন? সোনার বাংলা করবে বলছো, তাহলে এত কম ভ্যাকসিন কেন? আমরা আরও এক কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছি। সবাইকেই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেব আমরা।" পাশাপাশি তৃণমূল প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, "প্রত্যেক প্রার্থী একটা মনিটারিং টিম তৈরি করুন। ৮-১০ জনকে নিয়ে একটা মনিটারিং টিম তৈরি করুন। একজনের কোভিড হলে বাকিরা দেখবেন।" সূত্রে খবর, বাংলায় ভ্যাকসিন সঙ্কট চরমে থাকার জন্য, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে আসছে ৩ লক্ষ কোভিশিল্ড। কাল বিকেলেই এয়ার এশিয়ার বিমানে পৌঁছবে সিরামের তৈরি করোনা প্রতিষেধক।