ভবানীপুরের অনেক ওয়ার্ড কোভিডশূন্য, উপনির্বাচন নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী
আমরা বেআইনি বা অসাংবিধানিক কিছু চাইছি না, সংবিধান অনুযায়ী ভোটের ফল প্রকাশের ছ’মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করাতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী
বাংলায় কোভিড পরিস্থিতি অনেকটা ভালো। তাই এবার উপনির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন নবান্ন সভাঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, "আমি ভবানীপুর নিয়ে কলকাতা পুরসভার একটা রিপোর্ট দেখছিলাম। অনেক ওয়ার্ডই কোভিডশূন্য। আমরা ওদের বলেছিলাম, রাজ্যসভা তো বটেই। বিধানসভা ভোটের জন্যও আমরা তৈরি। উপনির্বাচন তো হবে একেকটা বিচ্ছিন্ন এলাকায়। তা ছাড়া গোটা রাজ্যেই কোভিড এখন অনেকটা কমে এসেছে।" কাজেই মুখ্যমন্ত্রীর কথা থেকে স্পষ্ট, তিনি মনে করছেন ভবানীপুরে উপনির্বাচন করানো সম্ভব।
মমতার আরও বক্তব্য, ‘‘সংবিধান অনুযায়ী, আইন অনুযায়ী ভোটের ফল প্রকাশের ছ’মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করাতে হবে। ফলে আমরা বেআইনি বা অসাংবিধানিক কিছু চাইছি না। কিন্তু বিজেপি জানে, ওরা প্রতিটায় হারবে! তাই ওরা ভোট চাইছে না।"
রাজ্যসভার ভোট করানো নিয়ে রাজ্য সরকারের মতামত চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই উত্তরেই রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যসভার ভোট এবং উপনির্বাচন করার পরিস্থিতি রয়েছে বাংলায়। তিনি বলেন, "রাজ্যসভার দু'টি উপনির্বাচন নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে মতামত চেয়েছিল। মুখ্যসচিব জানিয়ে দিয়েছেন, আমাদের এখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। রাজ্যসভার জন্য তৈরি। এবং ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্যেও প্রস্তুত। তাছাড়া আলাদা আলাদা এলাকায় উপনির্বাচন। বাংলায় সংক্রমণের হার ১.৫ শতাংশ। এমন এলাকাও আছে যেখানে একটা কেসও নেই। যেমন কাল কলকাতা পুরসভার রিপোর্ট দেখছিলাম, ভবানীপুরের অনেক ওয়ার্ড কোভিডশূন্য।"
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীকে আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। তাই তিনি লড়বেন দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর পুরোনো কেন্দ্র ভবানীপুর থেকেই। কিন্তু তৃণমূলের একাংশের আশঙ্কা, কৌশলগত ভাবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ৫ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যে উপনির্বাচন করাতে চাইছে না। উপনির্বাচনের আগে পুরভোটের দাবি করেছে তাঁরা।