আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করে মাছ ধরার অভিযোগ, বাংলাদেশে আটক কাকদ্বীপের একাধিক মৎস্যজীবী
কাকদ্বীপের অন্তত ৮ টি ট্রলার আটকে বাংলাদেশে, দাবি সূত্রের
জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে সমুদ্রে পাড়ি। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বর্ষা নামলেই মাছ ধরার কাজে নেমে পড়েন তাঁরা। মাছ ধরার প্রত্যাশায় অনেক সময় খেয়াল থাকে না আন্তর্জাতিক জলসীমা। আবার অনেক মৎস্যজীবী বেশি মুনাফার লোভে জেনে-বুঝেই আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করেন। ধরা পড়লেই ভিন্ দেশে হাজতবাস। শাস্তি তো আছেই।
সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘনের কারণে কাকদ্বীপের আটটি ট্রলার আটক করেছে বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী। বেসরকারি সূত্রে খবর, অন্তত ১৩৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী বাংলাদেশে নিয়মের জালে আটকা পড়েছে। যদিও সরকারি সূত্র মারফত খবর, চারটি ট্রলার এবং ৬৮ জন আটকে পড়েছেন বাংলাদেশে। তাঁদের বাঘেরহাট জেলার একটি থানায় আটকে রাখা হয়েছে।
এমন ঘটনার কারণ কী? সূত্র মারফত খবর, কাকদ্বীপের কিছু ট্রলার সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশ সীমানায় ঢুকে মাছ ধরছে, এমনই অভিযোগ উঠেছিল। বাংলাদেশে এখনও মৎস্য শিকারের মরসুম শুরু হয়নি। বাংলাদেশ জলসীমায় ট্রলার দেখে বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনীর সন্দেহ হয়। তাদের আটকে রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
যদিও মৎস্যজীবীদের পাল্টা যুক্তি অনেক সময় নদী-সমুদ্রের উত্তাল স্রোতে নৌকা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। তখন জলসীমা পেরিয়ে যায়। যদিও এক্ষেত্রে বাংলাদেশ জলসীমায় ঢুকে মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে। আটক মৎস্যজীবীরা কবে ছাড়া পাবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এমন বেআইনিভাবে মাছ ধরার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে প্রশাসন।