'বাংলা হারতে জানে না' বৈঠকে বার্তা মমতার, রাজ্যে এল নয়া মুখ্যসচিব
আগামিকাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হবেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়
গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Banarjee) বদলি ঘিরে রাজ্য-কেন্দ্রের সংঘাত চরমে। একের পর এক চিঠি ঘিরে শোরগোল। শেষ কথা অনুযায়ী, ৩১ মে অর্থাৎ সোমবার সকালেই রাজ্যের মুখ্যসচিবের দিল্লিতে গিয়ে নর্থ ব্লকে কর্মীবর্গ বিভাগের কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যসচিবের। গত শুক্রবার আচমকা কেন্দ্রের তরফে চিঠি পাঠিয়ে এ কথা জানানো হয়। তারপর থেকেই তাঁর এই বদলি নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে, মতামত না নিয়ে একতরফাভাবে কেন্দ্রের এই চিঠি ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধিমূলক’ বলে অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন মহলে।
কেন্দ্রকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “কেন মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠানো হল? চিঠিতে কোথাও কারণের উল্লেখ করা হয়নি।” একইসঙ্গে তাঁর দাবি, “এটা স্রেফ প্রতিহিংসামূলক আচরণ। বাংলা জিততে না পেরে এমন কাজ করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ওঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পছন্দ করে না। তাই হয়রান করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, দিল্লির বদলে আজ নবান্নে 'যশ' সংক্রান্ত বৈঠকে যোগদান করেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ওঠে। কারণ সোমবার সকাল ১০টায় তাঁর নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দফতরে যাওয়ার কথা থাকলেও, তিনি দিল্লি যাননি। পরিবর্তে তিনি গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্নে।
এরপরে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, আগামিকাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হবেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিব হচ্ছেন এইচ কে দ্বিবেদী। কেন্দ্রের কড়া চিঠির পরেও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়েনি রাজ্য। বরং সোমবার নিজের কর্মজীবন থেকে অবসর নিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পদে তাঁকে নিযুক্ত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।