"আদিবাসী মহিলাকে প্রার্থী করেছে জানলে অন্যভাবে ভাবতাম": মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দ্রৌপদী মুর্মুর জেতার সম্ভাবনা বেশি বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
আদিবাসী মহিলাকে প্রার্থী করে চালাকি করল বিজেপি! শুক্রবার রথযাত্রার শুভলগ্নে ইস্কন মন্দিরে দাঁড়িয়ে এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, "বিজেপি আগে জানায়নি, তাঁরা এক আদিবাসী মহিলাকে প্রার্থী করছে। তাহলে অন্যভাবে ভাবতাম।"
ইস্কন মন্দিরে আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সাংসদ নুসরাত জাহান, পুলিশ কমিশনার। মিডিয়ার সামনে মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, দ্রৌপদী মুর্মুর জেতার সম্ভাবনা বেশী। মমতার কথায়, "আমি আদিবাসী, দলিত সবাইকে সমর্থন করি। আমার অন্যরকম সেন্টিমেন্ট কাজ করে। NDA-যে দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করবে সেটা আগে জানলে অন্যভাবে ভাবতাম।" তিনি আরও বলেন, "বিরোধী দলগুলি মিলে একটা সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে। ফলে সবাই না বললে একা ফিরে আসা সম্ভব নয়।" এদিকে মমতার ইঙ্গিতবাহী কথাকে চালাকি বলে বিদ্ধ করেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। বলেন, "সুযোগ বুঝে পালটি খাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।"
প্রসঙ্গত, পেশায় শিক্ষিকা দ্রৌপদী জি ১৯৯৭ সালে ওড়িশার রায়রাংপুর পুরভোটে জিতে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার রায়রাংপুর কেন্দ্রের বিধায়কও হন। ২০০০ ও ২০০৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন বিজেডি-বিজেপি জোট সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন। পরিবহণ, পশুপালন, মৎস্য দফতর সামলেছিলেন আদিবাসী নেত্রী। বিজেপির আদিবাসী মোর্চার সহ-সভাপতিও হয়েছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি হন ওড়িশার সেরা বিধায়ক। পরে মোদীর জমানায় ২০১৫-র মে থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলান দ্রৌপদী।