ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মৃত মাছ শুকিয়ে খাওয়া যায় কিনা দেখো, নির্দেশ মমতার
ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাবে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন জায়গায় নদীর মাছ মারা গিয়ে ওপরদিকে ভেসে উঠেছে
ঘূর্ণিঝড় যশ এবং ভরা কোটালের কারনে একাধিক জায়গায় বাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়েছে জল। উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়েছে স্থানীয় এলাকায়। মাছ চাষের বহু পুকুর, ভেরি নোনা জল ঢুকে পড়ে সব একেবারে ভেসে গিয়েছে। পুকুরের মিষ্টি জলের মাছ মারা গিয়েছে এই সমুদ্রের জলের প্রবেশের ফলে। যার ফলস্বরূপ অনেক মাছ ভেসে উঠেছে উপরের দিকে। এই মাছগুলির একটা গতি করার জন্য রাজ্যের মৎস্য সচিবকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারের ঘূর্ণি ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করে একটি ভিডিও বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিবের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিবকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, "তোমাদের যে এক্সপার্টরা রয়েছে তাদের একটু মতামত নিয়ে দেখো তো, অনেক বড় বড় মাছ মারা গেছে। যদি সেই সমস্ত মাছ কেটে কেটে শুকিয়ে ভেজে বাজারে বিক্রি করা যায় তাহলে মাছটা হয়তো ভালো থাকবে। আমরা যেভাবে মাছে নুন হলুদ মাখিয়ে রাখি, তাহলে মাছ থেকে যায় অনেকক্ষণ ভালো। যদি শারীরিকভাবে কোনো ক্ষতি না হয়, তাহলে ওই মাছ গুলো তুলে আনুন। সেগুলিকে নুন হলুদ মাখিয়ে পুরো রোদ্দুরে শুকিয়ে ড্রাই করার ব্যবস্থা করুন। বাংলার মানুষ এমনিতেও মাছ খেতে ভালোবাসে। যদি আমরা এই সমস্ত মাছ এভাবে বিক্রি করতে পারি তাহলে কিন্তু লোক নিতে পারে। বাড়িতে ঝোল টোল করে খাওয়া যাবে এই সমস্ত মাছ।" কিন্তু বিশেষজ্ঞরা একটু অন্য কথা বলছেন। তারা জানাচ্ছেন পুকুরের মৃত মাছ কিন্তু কখনোই খাওয়া উচিত নয় কারণ, মাছের দেহে যদি পচন শুরু হয় তবে কিন্তু সেই মাছ উপর দিকে ভেসে ওঠে। পচা মাছ খাওয়া মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে।