কেউ ফিরে আসতে চাইলে ফিরে আসতে পারেন, দলবদলুদের কাছে বার্তা দিয়ে গেলেন মমতা

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 03/05/2021   শেষ আপডেট: 03/05/2021 10:10 p.m.
twitter.com/BanglarGorboMB

কিন্তু দুদিন আগে যাদের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, তারা কি আবারো নিজের দম বন্ধ করার জন্য ফিরবেন?

তৃণমূল কংগ্রেসের বিপদের দিনে অনেক নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন। কিন্তু তেমন একটা লাভ হয়নি। উল্টে বিজেপির ক্ষতি হয়েছে বলা চলে। যারা ভেবেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বিপদে ফেলে ক্ষমতায় চলে আসবেন, তারা আজ নিজেরাই অত্যন্ত বিপদে পড়ে গিয়েছেন। বিরোধী আসনে বসে মমতার বিরুদ্ধে লড়াই করা অত্যন্ত কঠিন। তার পাশাপাশি বিজেপির তেমন খুব একটা বড় নেতা জয়লাভ করতে পারেননি, শুভেন্দু অধিকারী বাদ দিয়ে। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ নেমে এসেছে বিজেপি নেতা কর্মীদের উপরে। রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়। কিন্তু এই আক্রমণের অভিযোগটি কতটা ধোপে টিকবে সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। তাই পরিস্থিতি এমনই, যে এই দলবদলকারী নেতারা আবার হয়তো তৃণমূলে ফিরে আসতে পারেন। এমনই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তৃতীয়বারের জন্য মন্ত্রিসভা গঠন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী বুধবার ৫ মে। তার আগে কালীঘাটের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন তিনি। সেখান থেকে দলবদলকারী নেতাদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন, কেউ যদি ফিরে আসতে চান ফিরে আসতে পারেন। তবে, প্রশ্নের বিষয় হলো, এতদিন তৃণমূলে থেকে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, তারা কি আবার দম বন্ধ করার জন্য তৃণমূলে ফিরবেন? বৈশালী ডালমিয়া, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, সব্যসাচী দত্ত, প্রবীর ঘোষাল, এমনকি গতবারের বিধানসভা নির্বাচনের সব থেকে বড় মার্জিনে জেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অব্দি এবারের নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হয়তো আবার তারা ফিরে আসতে পারেন।

তবে অন্যদিকে আবার মমতার ৩ বিশ্বস্ত মন্ত্রী দলবদলকারীদের বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছেন উত্তরবঙ্গে। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ হেরে গিয়েছেন তার প্রাক্তন সতীর্থ মিহির গোস্বামীর কাছে। বিনয় কৃষ্ণ বর্মন হেরে গিয়েছেন কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। তিনি আগে মাথাভাঙ্গা কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতেন। অন্যদিকে আবার ডাবগ্রাম ফুলবাড়ী কেন্দ্র থেকে প্রাক্তন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব হেরে গিয়েছেন তার প্রাক্তন সতীর্থ বিজেপি প্রার্থী শিখা চট্টোপাধ্যায় এর কাছে। যেখানে সারা বাংলা মমতা আবহে কাঁপছে, সেখানে উত্তরবঙ্গে কিছুটা শক্তি এখনো সঞ্চয় করে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।