তিন মাস আমার হাতে কিছু ছিল না, অত্যাচার হয়েছে, কমিশনকে সরাসরি কটাক্ষ মমতার
মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু রদবদল এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেখুন গেলেন কারা আর এলেনই বা কারা
রাজ্যে ক্ষমতায় পুনরায় আসীন হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পরেই তিনি সরাসরি রাজ্যের প্রশাসনিক রদবদল শুরু করে দিয়েছেন। বুধবার বিকেলে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটি পদে ফিরতে চলেছেন বিবেক সহায়। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক স্মিতা পান্ডেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। ওই জায়গায় পূর্ণেন্দু কুমার মাজি আসছেন। এছাড়াও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় রদবদল করা হলো।
এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের পর পুরুলিয়ার জেলা শাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে কম্পালসারি ওয়েটিং এ পাঠিয়ে দিয়েছে শাসক দল। পরিবর্তে সেখানেই এসেছেন মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন রাহুল মজুমদার। অন্যদিকে আবার রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে ফিরলেন বীরেন্দ্র। এডিজি আইন-শৃঙ্খলা পদে ফেরানো হতে পারে জাবেদ শামীমকে। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে পারেন বিবেক সহায়।
তার পাশাপাশি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতির জন্য সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারদের আরো কড়া হওয়া প্রয়োজন। তার সঙ্গেই করোনাভাইরাস নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবন ছেড়ে মমতা নবান্নে গিয়ে সেখানে একাধিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন। সেই সভায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বেশ কিছু জেলাশাসক। সেখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক হয়। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি কটাক্ষ করলেন মমতা। বললেন, "যে জায়গাগুলিতে বিজেপি জিতেছে সেই জায়গাগুলিতে অত্যাচার করা হচ্ছে। তিন মাস আমার হাতে কিছু ছিল না, কিন্তু এবার আর কোন অত্যাচার বরদাস্ত করা হবে না। বাংলা সংহতি, সম্প্রীতি এবং সংস্কৃতির জায়গা।"