যশ ক্ষতিগ্রস্ত দীঘা পুনর্গঠন হবে ৩ ধাপে, প্রথম ধাপের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
টিকা বণ্টনের বৈষম্য নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নবান্ন থেকে ফের সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কিছুদিন আগেই করোনা (Corona) সংক্রমনের মাঝে রাজ্যের বুকে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় যশ (Yaas Cyclone)। ঝড়ের দাপটে তছনছ হয়ে গিয়েছিল দীঘা, মন্দারমনি, তাজপুর সহ একাধিক উপকূলীয় অঞ্চল। সেই অঞ্চলের ক্ষতি দেখে অনেকদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) পর্যটনস্থলগুলিকে পূনর্গঠনের জন্য ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে দিয়েছিলেন। এবার আজ নবান্ন (Nabanna) থেকে মুখ্যমন্ত্রী সেই কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য তিনটি ধাপে কাজ করার কথা ঘোষণা করেছেন। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কাজের প্রথম ধাপ হিসাবে দীঘা সৈকতে ঘূর্ণি ঝড়ের দাপটে ধসে পড়া দোকানগুলি চালু করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের ৫২ টি মোবাইল ভেন্ডিং কার তুলে দেওয়া হয়েছে। নবান্ন থেকে ভার্চুয়ালী ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঘূর্ণিঝড়ে দাপটের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করতে যান এবং সেখানেই তিনি দীঘা, মন্দারমনি ও উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলি পুনর্গঠনের ঘোষণা করেছিলেন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী প্রথমেই ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত কাজে ফিরে আসতে পারেন তার জন্য ৫২ টি মোবাইল ভ্যান প্রদান করেছেন তিনি। পরবর্তী ধাপে আরও ৩০ টি প্রকল্প হবে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের দুয়ারে ত্রান প্রকল্প কতটা এগিয়েছে তার পরিসংখ্যান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ১৯.১লক্ষ মানুষের ব্যাংক একাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে। ত্রাণ প্রকল্প সম্পন্ন করতে খরচ হয়েছে ৩৬৪.৩ কোটি টাকা।
অন্যদিকে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের টিকা বন্টন নীতি নিয়ে ফের সরব হয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, "আজ আবার একটা চিঠি লিখেছি। জানিয়েছে ভ্যাকসিনের সাপ্লাই ঠিকমতো আসছে না। জানি উত্তর পাব না, কারণ আমরা উত্তর পাই না। কিন্তু চিঠিগুলো লিখি। কারণ বিষয়গুলি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো আমাদের দায়িত্ব। উত্তর পাই বা না পাই, চিঠি আমি লিখে যাব।" সেই সাথে তিনি জানিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গে ১৪ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ আসার কথা। কিন্তু এসেছে মাত্র ২.১২ কোটি ডোজ। বর্তমানে প্রত্যেকদিন রাজ্যে ৩ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে জোগান ঠিকমত না হলে সেই মাত্রা বজায় রাখা সম্ভব হবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন পেলে দৈনিক ১০ লাখ টিকা দেওয়ার পরিকাঠামো রয়েছে বাংলায়।