প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে বাংলার ডেয়ারির স্টল, মিলবে মাছও! বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
‘বাংলার পুষ্টি এবং বাংলার সৃষ্টি’ কে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর মঙ্গলবারও ঠাসা কর্মসূচি আছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ তাঁর নেকনজরে বাঁকুড়া। বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিলেন, "আগামীদিনে রাজ্যের শহরাঞ্চলের প্রতিটি ওয়ার্ডে বাংলার ডেয়ারির স্টল তৈরি করতে চায় রাজ্য সরকার।"
‘বাংলার পুষ্টি এবং বাংলার সৃষ্টি’কে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে গতবছরের শেষের দিকেই আত্মপ্রকাশ করে বাংলার ডেয়ারি। সরাসরি কৃষক গোয়ালাদের থেকে তাজা দুধ কেনা হয় এই ডেয়ারিতে। ফলত অন্যান্য পাস্তুরাইজড প্যাকেটজাত দুধের থেকে বাংলার ডেয়ারির দুধের দাম অনেকটাই কম। এই ডেয়ারিতে বর্তমানে দুধ, ঘি, দই, পায়েসের মতো দুগ্ধজাত দ্রব্য বিক্রি হয়। তবে এদিনের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন যে আগামী দিনে এই পন্যের ভ্যারাইটি আরও বাড়াতে হবে।
সরকারি সূত্র মারফত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গতবছরের শেষে যখন বাংলার ডেয়ারি আত্মপ্রকাশ করে তখন রাজ্য সরকার বাংলার কৃষকদের কাছ থেকে মোটে ৪ হাজার লিটার দুধ কিনত। বর্তমানে সেটা বেড়ে হয়েছে ২৩ হাজার লিটার। এই মুহূর্তে বাংলার ডেয়ারিতে তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে দৈনিক প্রায় ১২ হাজার লিটার এবং দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১ হাজার কেজি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামীতে মৎস ও পশুপালন বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে মাছও মিলতে পারে বাংলার ডেয়ারির স্টলে। এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, "আমি চাই আগামী দিনে রাজ্যের শহরাঞ্চলের প্রতিটি ওয়ার্ডে বাংলার ডেয়ারির স্টল খোলা হোক। সেই সঙ্গে মৎস্য ও পশুপালন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে মাদার ডেয়ারির স্টলেই যদি মাছ বিক্রির ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে মানুষের সুবিধা হবে।"