ISF নয়, নন্দীগ্রামে মমতা-শুভেন্দু যুযুধানের মাঝে তৃতীয় শক্তি হিসেবে লড়তে চায় সিপিএম
নন্দীগ্রামে এতদিনের যোদ্ধা বাম শরিক CPI-কেও সরিয়ে এই প্রথমবার তাদের বৃহত্তর শক্তি মাঠে নামবে
আসন্ন বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বহুলচর্চিত শব্দবন্ধ 'খেলা হবে', যা কার্যত এবারের ভোটের সর্বদলীয় স্লোগানে রূপান্তরিত হয়েছে। তাই সেই সূত্র ধরে বলতে গেলে এখনো চলছে খেলার ঘুঁটি বা প্লেয়ার সাজানোর পালা। প্রশ্নাতীতভাবে এবারের ভোটের হাইভোল্টেজ আসন নন্দীগ্রাম যেখানে তৃণমূল প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে মুখোমুখি টক্কর দেখতে চলেছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী হেভিওয়েট শুভেন্দু অধিকারীর। তাহলে কি এই দুইএর চাপে তৃতীয় দল অর্থাৎ বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেনা? এমন সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিতে প্রথমে নন্দীগ্রামে আইএসএফ প্রার্থীকে দাঁড় করানোর কথা ভেবেও মত বদল করতে পারে যুক্ত ফ্রন্ট। জোটের প্রধানরা এই প্রথমবারের জন্য ওই অঞ্চলে এক সিপিএম প্রার্থীকেই লড়াইয়ে নামাতে পারেন, সূত্রের খবর।
১৯৫২ থেকে আজ পর্যন্ত নন্দীগ্রামে প্রার্থী দিয়েছে বামেদের শরিক দল সিপিআই। তবে ২০০৯ থেকে পাকাপাকিভাবেই ওই আসন জিতে আসছে তৃণমূল। নন্দীগ্রামে সিপিআইএর প্রভাব যথেষ্ট হলেও মমতা জমানায় তা অনেকটাই নিম্নমুখী। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু এ প্রসঙ্গে জানান, তৃণমূল থেকে মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য দিকে বিজেপি থেকে শুভেন্দু অধিকারী, দুই হেভিওয়েট প্রার্থী দাঁড়ানোয় তারাও রাজ্য স্তরে ভালো পরিচিতি থাকা হেভিওয়েট প্রার্থী দিতে চান। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আরও সময় নেবে জোটপ্রধানরা। আব্বাস সিদ্দিকী মুসলিম প্রার্থীকে লড়াইয়ে নামালে সংযুক্ত মোর্চা বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছে এরম ভুল বার্তা পৌঁছানোর রাস্তা একেবারেই যাতে বন্ধ করা যায়, কিম্বা সিপিআইকে হেভিওয়েট লড়াইয়ে ছেড়ে দিলে অর্থবল ও জনবল কতটা সহায় হবে তা নিয়ে কোনো প্রশ্নচিহ্ন না রাখতে বামেদের সবচেয়ে বড় শক্তি সিপিএমকেই ভাবছে তারা। এক্ষেত্রে প্রার্থী হবার দৌড়ে এগিয়ে থাকতে পারেন নন্দীগ্রামেরই নেতা মহাদেব ভুঁইয়া।