তোলা আদায় করতে একেবারে সোয়াইপ মেশিন হাতে জনতার দুয়ারে তৃণমূল নেতা, উত্তপ্ত জলপাইগুড়ি
জলপাইগুড়ি জেলার পাহাড়পুর এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে
তোলা আদায় করতে এবারে একজন নতুন রাস্তা অবলম্বন করলেন জলপাইগুড়ির এক তৃণমূল নেতা। তোলা আদায় করার জন্য একেবারে সোয়াইপ মেশিন নিয়ে বাসিন্দাদের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে গেলেন তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর পঞ্চায়েত এলাকায়। পাহাড়পুর এলাকাটি খুব একটা প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকা নয়, বরং ওই এলাকার একটি মফস্বল ধরা যেতে পারে। জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন ওই এলাকায় এরকম একটি ঘটনা দেখে সকলের একেবারে চক্ষু চড়কগাছ। বাসিন্দাদের মধ্যেও এই তৃণমূল নেতাকে ঘিরে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। তার এই সমস্ত কর্মকান্ডের বিরোধিতায় তারা এদিন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তবে শুধুমাত্র তোলা আদায় করা নয় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তারা জানাচ্ছেন ওই তৃণমূল নেতা সঠিকভাবে এলাকায় ১০০ দিনের কাজ করতে দেন না। পাশাপাশি যেটুকু কাজ করা হয় সেখানে আবার তোলাবাজি চলে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। তার পাশাপাশি, ১০০ দিনের কাজ দেওয়ার নাম করে তৃণমূল নেতাকে কাটমানি দিতে হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তারা। আর এই কাটমানি নেওয়ার জন্য ওই তৃণমূল নেতা ব্যবহার করেন নির্দিষ্ট একটি সোয়াইপ মেশিন। ওই কাটমানি নেওয়ার জন্য এই মেশিন হাতে করে শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি চলে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতা এবং তার সঙ্গীরা, এমনটাই অভিযোগ করা হচ্ছে বাসিন্দাদের তরফ থেকে। তারা জানাচ্ছেন, তাদের বাড়িতে ঢুকে তাদের কাছ থেকে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে মেশিনের মাধ্যমে তারা টাকা তুলে নিচ্ছে একাউন্ট থেকে। বাড়িতে গিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যরা টাকা তুলে নিয়ে চলে আসছে বলেও অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
অন্যদিকে এই অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অসীম রায় বলেছেন, "পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে ওই ব্যক্তি নির্বাচিত ছিলেন। এলাকায় লোকজন কোন কাজকর্ম পাচ্ছিলেন না। আমরা কাজ করতে গেলে ওই ব্যক্তি বাধা দিত। আমরা শুনছি ঐ ব্যক্তি বাড়ি বাড়ি মেশিন নিয়ে গিয়ে টাকা তুলে আনার মতো গর্হিত কাজ করেছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা পাওয়া বাসিন্দাদের অধিকার। আমরা ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করব।"