আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০০ পাকা বাড়ি গঠন করে দেবে যাদবপুরের প্রাক্তনরা
আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে ৫০০ পাকা বাড়ি তৈরি করার জন্য লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯১ সালের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীরা।
আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে ৫০০ পাকা বাড়ি তৈরি করার জন্য লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯১ সালের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীরা। তারা সবাই মিলে এই প্রকল্পের নাম দিয়েছে ছাদ। যাদবপুর ইউনিভার্সিটির উপাচার্য সুরঞ্জন দাস সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেন। তিনি জানিয়েছেন প্রথম ধাপে পাঁচটি পাকা বাড়ি তৈরীর কাজ করা হবে। তারপরে বাকি বাড়ি গুলি তৈরি করা হবে।
ওই ছাত্রছাত্রীরা এখন অনেকেই বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থার উচ্চপদে কর্মরত রয়েছেন। কেউ কেউ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাদের মধ্যে একজন সূর্য দীপ্ত দত্ত জানিয়েছেন, হাসনাবাদ ব্লকের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই আম্ফান ঝড়ে। এই কারণে ওই গ্রামটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই ছাদ প্রকল্পের জন্য। ওখানে প্রতিটি বাড়ি তৈরীর জন্য আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করা হবে। প্রতিটি বাড়িতে দুটি করে ঘর এবং বাথরুম ও রান্নাঘর থাকবে। তারা জানিয়েছেন আপাতত দেশ-বিদেশের প্রাক্তনীদের থেকে ২৫ লক্ষ টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়েছে। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রাক্তনীদের কাছে গিয়ে তারা টাকা সংগ্রহ করেছেন।
বাড়িত সরকার তৈরি করে দিয়েছিল, তাহলে এই উদ্যোগ কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁরা জানিয়েছেন, বিডিও অফিসের খাতা খুলে দেখা হয়েছে কারা সুবিধা পেয়েছেন আর কারা পাননি। যারা পাননি তাদেরকে এই নতুন প্রকল্পের আওতায় নেওয়া হয়েছে। এই বাড়িগুলি তৈরি হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১১ ব্যাচের একজন ছাত্রের তত্ত্বাবধানে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেছেন, "আম্ফান এর মত বিপর্যয় সামাল দেবার জন্য সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। এই বিষয়টি হলো তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।"