কেশপুরে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল, মাথা ফাটল দুই কর্মীর
আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে
ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরে। হামলায় আক্রান্ত হয়ে মাথা ফাটল দুই তৃণমূল কর্মীর। প্রাথমিকভাবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত দুজনকে ভর্তি করা হয় কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে তাঁদের মেদিনীপুর গ্রামীণ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত ১১ টা নাগাদ স্থানীয় জগন্নাথপুর গ্রামের একটি চা দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন সইফুল রহমান এবং আসিফ আলি। এলাকায় তাঁরা কেশপুর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় পানের অনুগামী হিসাবে পরিচিত। অভিযোগ, এমন সময় হঠাৎই তাঁদের উপর লাঠি-বাঁশ নিয়ে চড়াও হয় তাঁদের দলেরই জনাকয়েক নেতা-কর্মী। প্রচণ্ড মারধোর করা হয় তাঁদের। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
উল্লেখ্য, শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্ধ কেন্দ্র করে ইদানিংকালে বারবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে কেশপুর। ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জয় পানের অনুগামীদের সঙ্গে বর্তমান ব্লক সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠির অনুগামীরা ঝামেলায় জড়িয়েছেন একাধিকবার। সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বও। তবে জানা গিয়েছে, নতুন করে ঝামেলার সূত্রপাত জগন্নাথপুরের অঞ্চল সভাপতি বিশ্বনাথ বরদোলুইকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ উঠেছে, সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ বিশ্বনাথকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন উত্তমানন্দ ত্রিপাঠি। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সেখানে নতুন করে জমছে অশান্তির মেঘ।
তবে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ সম্পূর্ণ নস্যাৎ করেছেন বর্তমান ব্লক সভাপতি উত্তমানন্দ। তাঁর দাবী, ব্যক্তিগত বিষয়কে কেন্দ্র করেই গণ্ডগোল হয়েছে কেশপুরে। এর সাথে গোষ্ঠীদ্বন্ধের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে জগন্নাথপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।