কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্ধের জের, গ্রেফতার অঞ্চল সভাপতি
ঠগ বাছতে গাঁ উজার হবে, কটাক্ষ বিজেপির
গত ১৯ অগাস্ট, কোচবিহার জেলার দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকে তৃণমূলের সভাপতি বদল ঘিরে ছড়িয়েছিল ব্যাপক উত্তেজনা। অভিযোগ, সেদিন গীতালদহ ১ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান আল আজাদ এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মাফুজুর রহমানের গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ লাগে। আর এই বিবাদের জেরেই চলে গুলি। গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী আব্দুল জলিল মিয়া। এই ঘটনায় গতকাল দিনহাটা থানার পুলিশ গ্রেফতার করল গীতালদহ ১ নম্বর পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি মাফুজুর রহমানকে।
তবে মাফুজুরই প্রথম নন, এই ঘটনায় এর আগেও ৩২ জন গ্রেফতার হয়েছেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোচবিহার জেলায় একাধিকবার শাসক শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্ধ প্রকাশ্যে এসেছে। জেলা নেতৃত্ব বারবার সাবধান করলেও গোষ্ঠীদ্বন্ধের প্রবনতা এতটুকুও কমেনি। দিন কয়েক আগেই ওকড়াবাড়ি পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন দলেরই সদস্যদের একাংশ। তবে অনাস্থা ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগেই পঞ্চায়েত প্রধান রেনুকা খাতুনের বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, প্রধানের বাড়িতে তারা বোমাবাজি করে, চালায় ভাংচুর। একটি মোটরবাইকে আগুন পর্যন্ত লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। পরেরদিন ঘটনাস্থল থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করে দিনহাটা থানার পুলিশ।
দায়িত্ব নিয়েই গোষ্ঠীদ্বন্ধ কমানোর লক্ষ্যে জেলার তৃণমূল সভাপতি গিরিন্দ্রনাথ বর্মণ কর্মীদের সাবধান করে বলেছিলেন, তৃণমূল পরিচালিত কোনও পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যাবে না। তবে তাতে বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর থেকেই দলীয় প্রধানদের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে চলেছে সেখানের একের পর এক পঞ্চায়েত। জেলা নেতৃত্ব বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আদালত থেকে সম্মতি নিয়ে এসে অনাস্থা পেশ করছেন পঞ্চায়েত কর্মীরা।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্ধ এবং পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতির গ্রেফতারের ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। তাঁদের কথায়, ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। যদিও এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের সাফাই, আইন আইনের পথেই চলবে।