আমি প্রার্থী হিসেবে সবার কাছে ফোন করে ভোট চাইতে পারি, এটা নিয়ে এত বিতর্কের কী আছে? ভাইরাল অডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে বললেন মুখ্যমন্ত্রী
কী খারাপ বলেছি? ওকে বলেছি, ভাল থেকো, সুস্থ থেকো আর একটু ভেবে দেখো নিজের সিদ্ধান্তের কথা : মুখ্যমন্ত্রী
বাংলার একেবারে প্রথম দফা নির্বাচনেই বিস্ফোরক কল রেকর্ডিং প্রকাশ্যে এসেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাতে তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি প্রলয় পালকে নন্দীগ্রামে ভোটে তৃণমূলকে সাহায্য করার অনুরোধ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই জবাবে প্রলয়বাবু বলেছিলেন, দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে একাজ করতে পারবেন না তিনি। এরপরেই অডিয়ো ক্লিপটি প্রকাশ্যে আসতে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয়।
এই রেকর্ডিং-এর অভিযোগ নির্বাচন কমিশন অবদিও গড়ায়। এরপর সাংবাদিক বৈঠকে জয়প্রকাশবাবু বলেছিলেন, "বাংলার রাজনীতিতে অনেক ঘটনা দেখেছি। কিন্তু একজন মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলের একজন নেতাকে ফোন করে কাকুতি মিনতি করছেন এটা কখনো দেখিনি। একে কী বলা উচিত আমি জানি না। রাজ্য রাজনীতির অধঃপতনের নতুন স্তর না কি, বলতে পারবো না।"
তবে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য সে সময় করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিন মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম (Nandigram) কেন্দ্রে ভোটের শেষ প্রচারের দিন এই রেকর্ডিং নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, "আমি শুনেছিলাম, অনেকে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। তাই আমি ছেলেটিকে নিজেই ফোন করেছিলাম। আর কী খারাপ বলেছি? ওকে বলেছি, ভাল থেকো, সুস্থ থেকো আর একটু ভেবে দেখো নিজের সিদ্ধান্তের কথা। আমি প্রার্থী হিসেবে সবার কাছে ফোন করে ভোট চাইতে পারি। এটা নিয়ে এত বিতর্কের কী আছে?”
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, প্রলয় যাতে এবারের নির্বাচনে তৃণমূলকে সাহায্য করে। তবে মমতার কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন প্রলয়। জানিয়ে দেন, যে দলে তিনি কাজ করছেন তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন না। তাই তৃণমূলে আর ফিরবেন না।