ভাষণ দিতেই পারলেন না রাজ্যপাল, বিধানসভা উত্তাল পদ্মশিবিরের নজিরবিহীন বিক্ষোভে
পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি
বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণ শুরুর আগেই তীব্র উত্তেজনা। পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে বিধানসভায় বিক্ষোভে শামিল হল বিজেপি। যার জেরে সময়মতো ভাষণ শুরু করতে পারলেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আদৌ তিনি ভাষণ দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অধিবেশন শুরুর আগেই এই পরিস্থিতি সত্যিই নজিরবিহীন। সোমবার সকালে রাজ্যপালের উদ্বোধনী ভাষণের আগেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা।
পরে স্পিকারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল বিধায়করাও। এর মধ্যেই স্লোগান এবং পাল্টা স্লোগান চলতে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় দুইপক্ষকেই শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিশেষ লাভ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান রাজ্যপালের ভাষণ টেবিল করা হবে। অবশ্য তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে রাজ্যপাল প্রশ্ন তোলেন কী করে তাঁর অনুমতি ছাড়া, তাঁর ভাষণ টেবিল করার কথা বলছেন স্পিকার।
রাজ্যপালের বক্তব্য, তিনি যতক্ষণ না বলছেন, ততক্ষণ তাঁর বক্তব্য টেবিল করা যায় না। তবে এসবের মাঝে অব্যাহত ছিল বিজেপির বিক্ষোভ। রাজ্যপালের সামনের ওয়েলে প্রায় এক ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ করে গেরুয়া শিবির যার নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে রাজ্যপাল নেমে যেতে চাইলে তাঁকে ঘিরে ধরেন তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা। সব মিলিয়ে বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে যেমন আশঙ্কা করা হয়েছিল, তেমনটাই হল। অধিবেশন শুরু হওয়ার পূর্বেই দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল বাকবিতন্ডা দেখা গেল।
অবশেষে বেলা ৩:০৭ নাগাদ বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল। তাঁকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, "বিরোধীদের বিধায়করা স্লোগান করেন। এরকম ঘটনা এর আগে কখনও বিধানসভায় ঘটেনি। রাজ্যপাল ভাষণ দিতে পারেননি, এমন সত্যিই নজিরবিহীন। এটা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। আমরা এক ঘন্টা অপেক্ষা করেছি। আমাদের কোনো বিধায়ক কথা বলেননি। বিজেপি আজ যা করেছে, তা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জাজনক"।