ফের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ রাজ্যপালের, তাই দেরি না করেই রাজভবনে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 06/01/2021   শেষ আপডেট: 06/01/2021 6:35 p.m.
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় twitter @BanglarGorboMB

মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান মেনে কাজ করছেন না : রাজ্যপাল

সামনে বিধানসভা নির্বাচন, তার আগেই ফের আরও একবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ‘‌বহিরাগত’‌ ইস্যু থেকে শুরু করে আমফান প্রসঙ্গ- সবটাতেই এদিন তিনি তৃণমূলশাসিত রাজ্য সরকারের তুলোধনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

তারই মাঝে বুধবার সন্ধ্যায় রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। ঠিক কী কারণে আচমকা রাজভবনে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।  উল্লেখ্য, বুধবার বিকেল ঠিক পাঁচটা পঁচিশ নাগাদ আচমকাই রাজভবনে পৌঁছালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অ্যাসেম্বলি গেট দিয়ে রাজভবনে প্রবেশ করেন তিনি। সূত্রের খবর, বর্তমানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি। তবে ঠিক কোন বিষয়ে রাজ্যের সাংবিধানিক এবং প্রশাসনিক প্রধানের আলোচনা হচ্ছে, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি।

যদিও এ বিষয়ে নবান্নের তরফে দাবি করা হয়েছে, এটি নাকি মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ। এবং এখনও অবদি রাজভবনের তরফেও কোনো খবর মেলেনি।

প্রসঙ্গত, এদিন সস্ত্রীক তমলুকে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তিনি বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দেন। এরপরই কোলাঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন রাজ্যপাল। তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘‌মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান মেনে কাজ করছেন না।’‌

এরপরেই বহিরাগত ইস্যুকে কেন্দ্র করেও রাজ্যপাল বলেন, "সংবিধানে উল্লেখিত ‘‌‌উই, দ্য পিপল’‌-এর অর্থ হল ভারতমাতার যে কোনও সন্তান এই দেশের কোনও প্রান্তেই বহিরাগত নন। কিন্তু এই রাজ্যে যখন অন্য রাজ্যের লোকজন আসে তখন তাঁদের বহিরাগত বলা হয়। এটা ভারতের সংবিধানের প্রতি অপমানজনক। আমি এর ভৎর্সনা করি।"