কোচিং সেন্টারে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, নরেন্দ্রপুরে গ্রেফতার শিক্ষক
জানা যাচ্ছে, স্পোকেন ইংলিশ শেখানোর অছিলায় বারবার ওই ছাত্রীকে ডেকে পাঠাতেন অভিযুক্ত
শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোচিং সেন্টার মধ্যেই দিনের পর দিন ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্য নরেন্দ্রপুর এলাকায়। ভয় এবং লজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টা করল পড়ুয়া, এমনটাই দাবি করলেন পরিবারের লোকেরা। ইতিমধ্যেই ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন বালবীর সিংহ নামের ঐ শিক্ষক। জানা যাচ্ছে, নরেন্দ্রপুর থানায় এলাকায় লস্করপুরে একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন তিনি। সেই কোচিং সেন্টারের মালিকানা তার নামেই রয়েছে। কোচিং সেন্টারটির নাম ছিল সিং অ্যান্ড শাও কোচিং সেন্টার। সেই কোচিং সেন্টার এই দিনের পর দিন এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করতেন বালবির। অভিযোগ স্পোকেন ইংলিশ শেখানোর অজুহাতে নিজের খেয়ালখুশি মতো নির্যাতিতাকে ডেকে পাঠাতেন। আর তারপরে চলত অত্যাচার।
অভিযোগ, ওই বিষয়টি নিয়ে পড়ুয়া যাতে কাউকে কিছু না জানাতে পারে তার জন্য খুনের হুমকি দেওয়া হত তাকে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার চলতে থাকায় একসময় ভয় এবং লজ্জায় বাড়ির বাথরুমে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল ওই পড়ুয়া। ঘটনাটি নিয়ে বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। মা তাকে বিস্তারিত প্রশ্ন করলে সবকিছু খুলে বলে নির্যাতিতা। তারপরে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার পুলিশ।
যদিও এই প্রথম নয়, এর আগেও ছাত্রী নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফলতাতে স্কুল চলাকালীন সহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই ছাত্রীকে অফিস ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছিলেন দিলীপ মন্ডল নামের একজন শিক্ষক। পরের নির্যাতিতা তার এক সহপাঠীকে বিষয়টি জানায় এবং তারপরেই বিষয়টির খোলসা হয়। আত্মীয়রা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলার রুজু করা হয় এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।