রাজ্যের ব্যয় সংকোচ! ১ কোটি ৭০ লক্ষ রেশন কার্ড নিষ্ক্রিয় করল খাদ্য দফতর
বছরে সাশ্রয় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা, সঙ্গে চালু এসএমএস পরিষেবা
কেউ হয়তো মারা গেছেন বছর পাঁচেক হল, আবার কোন ব্যক্তির আদপে অস্তিত্বই নেই - এমন রেশন কার্ড নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করল রাজ্য সরকার। আর শুরুতেই অভাবনীয় সাফল্য! এক ধাক্কায় প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষের বেশি রেশন কার্ড নিষ্ক্রিয় করতে পেরেছে রাজ্য সরকারের খাদ্য দফতর। তারফলে বছরে অন্তত আড়াই হাজার কোটি টাকা বাঁচবে, খবর এমনটাই।
রাজ্য সরকারের আচমকাই এমন উদ্যোগের কারণ কী? রাজ্যের ব্যয় সংকোচ করতেই এমন উদ্যোগ। এমনিতেই বিভিন্ন খাতে দিনের পর দিন ব্যয় বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বারবার ধার নিতে হয়েছে। আর গত দু'বছরের বেশি সময় করোনার কারণে খাদ্য দফতরের ব্যয় আরও বেড়ে গিয়েছে। এমনিতেই রেশন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছে রাজ্য সরকার, আর তার পাশাপাশি এমন ব্যবস্থার পর কিছুটা বাড়তি সাশ্রয় হবেই, বলাই বাহুল্য।
সূত্রের খবর, নিষ্ক্রিয় কার্ডগুলি এখনই পুরোপুরি বাতিল হচ্ছে না। যে ব্যক্তির কার্ড নিষ্ক্রিয় হচ্ছে তিনি উপযুক্ত তথ্য জমা করলেই ফের সেই কার্ড সচল হয়ে যাবে। আর আগেই মারা গেলেও যাঁদের কার্ড এতদিন সচল ছিল, তাঁদের কার্ড যে পুরোপুরিই বন্ধ হয়ে গেল, তা বলা যায়। সরকারের যুক্তি চলতি আর্থিক বছরে খাদ্যসাথী এবং দুয়ারে রেশন প্রকল্পের জন্য বাড়তি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে। এই নিষ্ক্রিয় কার্ড থেকে যে খরচ সাশ্রয় হবে, তাতেই এই বাড়তি খরচ উঠে আসবে। সরকারকে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে না।
এমনিতেই রাজ্যের খাদ্য দফতরকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। রেশনিং ব্যবস্থার সঙ্গে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ড সংযোগ করা হয়েছে। এমনকী প্রতিটি রেশন কার্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোবাইল নম্বর। উপভোক্তা কতটা সামগ্রী পেলেন কিংবা কখন কী কী পেলেন সমস্ত তথ্য মোবাইলে চলে যাচ্ছে। এখানে রেশন সামগ্রী বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সরকারের যুক্তি গোটা প্রক্রিয়াটাই স্বচ্ছ এবং সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য করা হয়েছে। উপযুক্ত গ্রাহক যাতে বঞ্চিত না হন, সেদিকে নজর রাখছে সরকার।