মমতার মন্তব্যের জেরেই হয়েছে শীতলকুচি কান্ড, মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির দাবি জানিয়ে এফআইআর স্থানীয় বিজেপি নেতার
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি মমতার উস্কানিতে এই সমস্ত ঘটনা ঘটেছে
শীতলকুচি তে জনসভায় গিয়ে সিআরপিএফ ঘেরাও মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই চতুর্থ দফা নির্বাচনে সিআরপিএফের গুলিতে প্রাণ হারান ৪ তৃণমূল কর্মী। সেই ঘটনার পরেই মমতার উক্ত মন্তব্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন কোচবিহার জেলার বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি সিদ্দিক আলী মিয়াঁ। তার সাথে, সিদ্দিক মমতার দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। তার দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণে সংখ্যালঘু চার যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এবং সেই কারণে তৃণমূল নেত্রীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করা হোক, এই দাবি নিয়ে এফআইআর দায়ের করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শীতলকুচিতে ৭ এপ্রিল জনসভা করে সেখানকার মহিলাদের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "যদি সিআরপিএফ জওয়ানরা অশান্তি করতে আসে তাহলে তাদেরকে ঘিরে ফেলুন। আরেকটা দল ভোট দিতে যান। যারা এরকম কাজ করছে তাদের নাম লিখে রাখুন।" এই ঘটনার পরে মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে গিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। চতুর্থ দফা নির্বাচনে সিআরপিএফের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪ জন তৃণমূল কর্মী। সিআরপিএফ এর তরফ থেকে সাফাই দেওয়া হয়, একদল জনগণ এসে তাদেরকে ঘিরে ফেলে ছিল এবং তাদের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। সেই জন্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালাতে বাধ্য হয়। তারপরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থেকে সরিয়ে পুরো ঘটনার দায় দেওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে। বিজেপি ঘোষণা করে, এই সমস্ত ঘটনার নেপথ্যে মমতার 'সিআরপিএফ ঘেরাও' মন্তব্য রয়েছে।