শিশুকে কেন্দ্র করে আইএসএফ – তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্ধ, অগ্নিগর্ভ বারাসাতের আমডাঙা
চলল গুলি, পড়ল বোমা, ঘটনায় আহত অন্তত ১০ জন
শিশুকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত। পারিবারিক সমস্যায় শীঘ্রই রং লাগল রাজনীতির। যাকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে ব্যাপক গণ্ডগোল বারাসাতের (Barasat) আমডাঙায়। আইএসএফ (ISF) এবং তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠীর কোন্দলে চলল গুলি, পড়ল বোমা। যার জেরে জখম হয়েছেন ১০ জন।
সূত্রের খবর, রবিবার রাতে এক শিশুকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের অশান্তি শুরু হয় আমডাঙার কোমরদুন এলাকায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশু থেকে অশান্তির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে আইএসএফ বনাম তৃণমূল। যা প্রথমে হাতাহাতি এবং পরে গোলাগুলিতে রুপ নেয়। কাঁধে গুলি লেগে জখম হন একজন। এছাড়াও ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। গণ্ডগোলের জেরে অন্ততপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও এলাকার পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
ঘটনার পর আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকিদের বারাসাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে এর মাঝেই আইএসএফ কর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন, তৃণমূল কর্মীদের চিকিৎসা করা হলেও তাঁদের চিকিৎসা করা হয়নি। ঘটনার পিছনে বিধায়কের অঙ্গুলিহেলনের অভিযোগ এনেছেন আইএসএফ কর্মীরা।
কি অভিযোগ আইএসএফ কর্মীদের? তাঁদের দাবী, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হত তাঁদের। কিন্তু তাঁরা যোগ না দেওয়ায় অশান্তির চাপা আগুন ক্রমশ বাড়ছিল। অন্যদিকে সম্পূর্ণ উল্টো দাবী শোনা গিয়েছে তৃণমূলের তরফে। তাঁদের দাবী, তৃণমূল আইএসএফ কর্মীদের নয়, বরং তৃণমূল কর্মীদের আইএসএফে যোগদান করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তবে দু’পক্ষের মধ্যে কে সত্যি বলছে তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে আমডাঙা থানার পুলিশ। বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।