কোনও বহিরাগত’দের ঢুকতে দেবেন না, নন্দীগ্রামে সাফ কথা মুখ্যমন্ত্রীর
আপনারা শান্ত থাকুন, কোনও অশান্তি করবেন না, কেউ অন্যায় করলে আমি আছি তো শাস্তি দেওয়ার জন্য : স্থানীয়দের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর মন্দির দর্শনে গিয়ে পায়ে আঘাত পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পায়ে চোট নিয়েই প্রায় মাসখানেক ধরে হুইলচেয়ারে বসে নির্বাচনী প্রচার সারছেন তিনি। এখনও বাকি সাত দফা ভোট, তবে এবার প্রথম দফা নির্বাচনের পর, দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য। কারণ, পয়লা এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোটে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর লড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য। প্রস্তুতি তুঙ্গে, তারই মাঝে আজ নন্দীগ্রামে শেষ মুহূর্তের প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙাবেড়া শহিদ বেদী থেকে শুরু করে রোড শো চলে সোনাচূড়া পর্যন্ত।
তবে বারংবার উঠে আসছে মুখ্যমন্ত্রীর চোট পাওয়ার প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে কয়েকদিন আগে দিলীপ ঘোষ 'বারমুডা' পরার উপদেশ দিয়েছিলেন। তবে এবার মঙ্গলবার বাঁশুলিয়াচকের সভা থেকে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থীর গলায় ফের শোনা গেল সেই কথা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ”নন্দীগ্রামের মানুষকে দোষ দিই না। আমার পায়ে চোট করানো হয়েছে বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে। সন্ধে ৬টার পর কাউকে ঢুকতে দেবেন না।”
যদিও গতকাল নন্দীগ্রামের বয়াল-২’র সভা থেকে মমতা নাম না করে তাঁর আঘাতের জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করে বলেছিলেন, "আমাকে মেরেছে। আমার পা জখম করেছে। তোমার নির্দেশ ছাড়া এটা হতে পারে না। নন্দীগ্রামের কেউ এই ঘটনা ঘটায়নি। বহিরাগত গুণ্ডাদের এনে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আর এখন দলের লোকেদের মারছে।”
এদিকে কয়েকদিন আগে নন্দীগ্রামে ভোটের আগে ‘বহিরাগত’দের আনাগোনা নিয়ে কমিশনে চিঠি দিয়েছিল শাসকদল। অভিযোগ, "ভোটে অশান্তি তৈরির জন্য এসব ষড়যন্ত্র চলছে।" আর তাতেই মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, "বাইরের কাউকে আর ঢুকতে দেবেন না। শুধু ইনসাইডাররা থাকবেন, আর আমি থাকব। আমি ভোটার, আমাকে তো থাকতেই হবে। আপনারা শান্ত থাকুন, কোনও অশান্তি করবেন না। কেউ অন্যায় করলে আমি আছি তো শাস্তি দেওয়ার জন্য।”