"পুরনো বাড়িতে গিয়েছেন, লজ্জা কিসের" অর্জুন প্রসঙ্গে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের
প্রশাসনিক চাপ সহ্য করতে পারছেন না তাই সারেন্ডার করেছেন : দিলীপ ঘোষ
প্রায় তিন বছরের সম্পর্ক ভেঙে তৃণমূলে ফিরেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। শুরু থেকেই জল্পনা তুঙ্গে। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে অর্জুন সিং বলেন, "ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছি। ভুল বোঝাবুঝিতে দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলাম। বিজেপিতে গিয়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ হয়েছিলাম। কিন্তু স্রেফ এসি ঘরে বসে রাজনীতি করা যায় না। মাঠে ময়দানে নেমে রাজনীতি করতে হবে।"
এর সঙ্গেই পাট শিল্পের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, "রাজ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই পাটশিল্পের সমস্যা রয়েছে। এই শিল্প অবহেলার শিকার হয়েছে। রাজ্যের ৬২টি জুট মিলের মধ্যে বেশ কয়েকটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বোঝাতে চেষ্টা করেছি অনেক। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত নভেম্বর মাসে পাটকল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন। এই শিল্পে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন তিনি। এই খবরটা পাওয়ার পর থেকে আমি লড়াই শুরু করে দিই কেন্দ্রের বস্ত্র মন্ত্রকের বিরুদ্ধে। আপাতত ২৫ শতাংশ আদায় করতে পেরেছি। কিন্তু ৭৫ শতাংশ বাকি রয়েছে। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যদি লড়াই না লড়তে পারি, তা হলে আমাদের আরও ক্ষতি হবে।"
এবার এই নিয়েই খোঁচা দিলেন দিলীপ ঘোষ। পাট শিল্পকে 'অজুহাত' বলে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘বাধ্য হয়েই তৃণমূলে গিয়েছেন অর্জুন। উনি বলেছেন, পাট শিল্পকে বাঁচাতে বিজেপি ছেড়েছেন। তৃণমূল পাট শিল্পকে বাঁচাতে পারবে? টিএমসি বাঁচবে কি না ঠিক নেই! কিছু একটা বাহানা তো দিতে হবে! ওঁর সঙ্গে এ নিয়ে দলের সর্বোচ্চ নেতারা কথা বলেছেন। পুরনো বাড়িতে গিয়েছেন, লজ্জা কিসের!"
এসি ঘরে বসে রাজনীতি করার তত্ত্বের পাল্টা জবাব দিয়ে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, "আমরা যদি ফেসবুকে রাজনীতি করি, তা হলে আমাদের ২০০ কর্মী খুন হলেন কী করে? উনি তৃণমূল ছাড়ার পর ওঁর বিরুদ্ধে একশোরও বেশি কেস হয়েছে। উনি কি ঠান্ডা ঘরে বসে কেস খেলেন? দলবদল রাজনীতির একটা অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। কেই তাড়াতাড়ি যান, কেউ একটু দেরি করে। আসলে অর্জুন চাপে পড়ে চলে গিয়েছে। ওঁর একাধিক ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর পর হয়তো আর লড়াই করা সম্ভব ছিল না। প্রশাসনিক চাপ সহ্য করতে পারছেন না তাই সারেন্ডার করেছেন।’’