কোথাও মাধ্যমিক তো আবার কোথাও স্নাতক, কত দূর পড়াশোনা করেছেন আদৌ নিশীথ প্রামাণিক?
নিশীথ প্রামাণিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে
আবারো বিতর্কে জড়ালেন নিশীথ প্রামানিক, তবে এবারে কোনো রকম রাজনৈতিক বিতর্ক নয় বরং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্কে পড়লেন তিনি। তিনি মাধ্যমিক পাস নাকি স্নাতক পাস তা নিয়ে এবার তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছে তার বিরুদ্ধে। জোড়া ফুল শিবিরের কোচবিহার জেলার সভাপতি তথা কোচবিহারে প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় প্রশ্ন তুলেছেন তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয়বারের জন্য মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করলেন। সেই সময় মন্ত্রিসভায় শপথ গ্রহণ করার সুযোগ পেলেন নিশীথ প্রামানিক।
কিন্তু তাকে কটাক্ষ করে কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় লিখলেন , "শুনলাম কোচবিহারের সাংসদ মন্ত্রী হচ্ছেন। কিন্তু লোকসভার ওয়েবসাইটে খুঁজতে গিয়ে তো দেখলাম চক্ষু চড়কগাছ। ওয়েবসাইটে সাংসদ মহাশয় এর শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যাচেলর অফ কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন। কিন্তু ভোটে দাঁড়ানোর সময় জমা দেওয়া সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক। বিষয়টা বোঝা গেল না। কেউ কি ব্যাপারটা খোলসা করে বুঝাবেন? নাকি সাংসদ মহাশয় নিজে বিষয়টি খোলাসা করবেন। সামাজিক মাধ্যমে কোচবিহারের মানুষের কাছে প্রশ্ন রাখলাম।"
যদিও এই মন্তব্যের পাল্টা বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেছেন, "পার্থবাবু নিজের প্রাক্তন সাংসদ হয়ে এই ধরনের প্রশ্ন করতে লজ্জা লাগে না? নিশীথ প্রামাণিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি জানতে হয় তাহলে আর টি আই করে জেনে নিন। কোচবিহারের ইতিহাসে এই প্রথম কেউ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। আর পার্থবাবু এই বিষয়টি মেনে নিতে চাইছেন না।" কিন্তু আসল কথা হলো, কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কিন্তু সমস্যা আছে। ভারত সরকারের ওয়েবসাইটে ইন্ডিয়ান পার্লামেন্ট বিভাগে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেওয়া রয়েছে ব্যাচেলর অফ কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন। কিন্তু হলফনামা জমা দেওয়ার সময় তার সর্বাধিক শিক্ষাগত যোগ্যতা তিনি লিখেছিলেন মাধ্যমিক পাস। তাই স্বভাবতই এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।