বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদে রাজ্যপালের বদলে কি এবার মুখ্যমন্ত্রী? জল্পনা উস্কালেন ব্রাত্য
অন্তর্বর্তিকালীন সময়ের জন্য রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদে আনা হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীকে : ব্রাত্য বসু
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদে থাকেন রাজ্যপাল (governor)। তবে তাঁকে সরিয়ে দিয়ে আচার্যের পদে যদি বসেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)? বাস্তবে অসাধ্য দেখালেও এবার সেই ভাবনাতেই রাজ্য সরকার। অন্তত শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) কথায় সেরকমই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য বলেন, অন্তর্বর্তিকালীন সময়ের জন্য রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদে আনা হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীকে। দরকার পড়লে এই বিষয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলতে শোনা যায় তাঁকে। বর্তমান আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালের কার্যকলাপে বিরক্তি প্রকাশ করে এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “তিনি (জগদীপ ধনখড়) যদি দিনের পর দিন এভাবে ফাইল ফেলে রাখেন, বিন্দুমাত্র সহযোগিতার মনোভাব না দেখান, তাহলে কেরলের রাজ্যপাল যেমন বলেছেন, প্রাদেশিক স্তরে আমরাও তা করতে বাধ্য হব। সংবিধান খতিয়ে দেখব। দরকারে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেব। আমরা আইনজীবীদের কাছে জানতে চাইব, অন্তর্বর্তিকালীন সময়ের জন্য রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে আমরা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসতে পারি কিনা”।
উল্লেখ্য, কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান (Arif Md. Khan) সম্প্রতিকালে বলেছিলেন, সে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্যের পদে তাঁর জায়গায় যেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে (Pinarayi Vijayan) নিয়ে আসা হয়। সেই প্রসঙ্গই আজ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন ব্রাত্য। কেরালার মতো এরাজ্যেও একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছে রাজ্যপাল-রাজ্য সরকার। কিছুদিন আগেই ১১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। তবে তাঁর ডাকে সাড়া দেননি কেউই। সে নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভপ্রকাশও করেন তিনি। রাজ্য সরকারের মদতেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ জানান ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। তাছাড়াও একাধিকার ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারনে বড়সড় সংঘাতে জড়িয়েছে দু’পক্ষ, যা বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল। তার মধ্যেই আবারও এহেন মন্তব্য করে সংঘাতের আবহাওয়া জিইয়ে রাখলেন ব্রাত্য বসু।