একগুচ্ছ দাবীতে বাঁকুড়ায় আইন অমান্য কর্মসূচী বামেদের
একই দৃশ্য চোখে পড়েছে হাওড়া, কুচবিহার, বীরভূমেও
কেন্দ্র ও রাজ্যের নীতি-নিয়মের প্রতিবাদে দেশজোড়া আন্দোলনে নামল বামেরা। সোমবার ‘ভারত বাঁচাও দিবস’ কর্মসূচীর অঙ্গ হিসাবে বাঁকুড়া জেলাশাসকের দপ্তরে অভিযান ও আইন অমান্য কর্মসূচীতে অংশ নিল একাধিক বামপন্থী শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর ইউনিয়ন। এদিন তাঁদের দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অত্যাধিক মুল্যবৃদ্ধি রোধে সরকারের হস্তক্ষেপ, সকলকে বিনামুল্যে ভ্যাক্সিন দেওয়া, আয়কর দেন না এমন পরিবারপিছু মাসে সাড়ে সাত হাজার করে টাকা দেওয়া এবং মনরেগা-র (মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট) আওতায় ২০০ দিনের কাজ দেওয়া।
এদিনের কর্মসূচীতে বামেদের সাথে পা মেলায় কংগ্রেসও। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র, কংগ্রেস নেতা অরুপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। বাম-কং নেতা-কর্মীরা আজ বাঁকুড়া শহরের হিন্দু স্কুলের মাঠ থেকে মিছিল করে এগিয়ে যেতে থাকেন জেলাশাসকের দপ্তরে। কিন্তু, পথেই তাঁদের রুখে দাঁড়ায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও সিপিএম নেতা অমিয় পাত্র পুলিশকে তাঁদের কর্মসূচীর উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন এবং আন্দোলনকারী প্রত্যেককে গ্রেফতার ও সাথে সাথে নিঃশর্ত জামিন দেওয়ার কথাও উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকদের জানান। তাতে তাঁদের দাবী পুরন না হলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেন। এমনকি জেলাশাসকের দপ্তর ঘেরাও করার কথাও বলেন তাঁরা।
তবে এ বিষয়ে আমল দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল কর্তৃপক্ষ। আজকের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃনমূলের বাঁকুড়া জেলার সভাপতি বলেন, সিপিআইএম-বিজেপি অলরেডি ‘ব্ল্যাকলিস্টেড’। সেজন্যই কেবলমাত্র প্রচারে আসার জন্য তাঁদের এই ‘নাটক’। পাশাপাশি তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, ৭০র টির ও বেশি প্রকল্পের মাধ্যমে সেবা প্রদান করছেন সাধারণকে। তাই আন্দোলনকারীদের এই ‘প্রলাপ’ মানুষের কানে পৌঁছবে না বলেও তিনি দাবী করেন।
তবে শুধুমাত্র বাঁকুড়াতেই নয়, একই দৃশ্য চোখে পড়েছে হাওড়া, কুচবিহার, বীরভূমেও। আজ হাওড়াতে বামেরা আইন অমান্য কর্মসূচী পালন করে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। এদিন তাঁরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙ্গারও চেষ্টা করেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার করলে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি পর্যন্ত হয়।