একাই একশো! মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়াও ৮টি বড়ো দপ্তরের দায়িত্বে একাই মমতা
মুখ্যমন্ত্রীত্বের পাশাপাশি একাই ৮ দপ্তরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই একজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বাংলার একজন দায়িত্বশীল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করে এসেছেন। তবে শুধুমাত্র যে তিনি একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেটুকুই নয়, তিনি রাজ্যের আরও আটটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী ও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতে কাজ করতে পছন্দ করেন। যেমন ভাবে তিনি মাঠে নেমে আন্দোলন করতে পারেন, ঠিক তেমনই পারেন মানুষের জন্য পরিশ্রম করতে। মুখ্যমন্ত্রী তার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে রাজ্যের ৮টি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নিজের হাতে। তার হাতে একদিকে আছে মুখ্যমন্ত্রীর পদ, অন্যদিকে আবার আছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পদ। নিয়মিত এই দপ্তরের কাজ তিনি একাই সামলে আসছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতোই রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দায়িত্ব তিনি নিজে হাতেই সামলাচ্ছেন।
যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বরাবরের সংস্কৃতিপ্রেমী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতেই রেখেছেন তথ্য এবং সংস্কৃতি দপ্তর। এতদিন পর্যন্ত এই তিনটি দপ্তর তার হাতে ছিল। এবারে সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও দুটি বড় দপ্তর। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত প্রিয় একটি জায়গা। তাই সব সময় নিজের হাতে উত্তরবঙ্গ কে সাজাতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইজন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব এবারে একদম নিজের হাতে রেখেছেন মমতা। এর আগে এই দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন গৌতম দেব, এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। যদিও এবারের নির্বাচনে দুজনেই পরাজিত হবার কারণে এই দপ্তরের দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের সাধের পাহাড় নিজের হাতে সাজাতে চাইছেন। এই দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে মালদহের সাবিনা ইয়াসমিনকে। অন্যদিকে অমিত মিত্র অব্যাহতি নেওয়ার অর্থ দপ্তরের দায়িত্ব এসে পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে। এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশ কিছুটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে রাজ্য এবং ভারত। বাংলাকে মন্দার হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হচ্ছে। লক্ষীর ভান্ডার এর মত নতুন প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই এত বড় প্রকল্পের খরচ সামলান মুখের কথা নয়। সেই সঙ্গে এই করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলে রাজ্যের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অর্থমন্ত্রী হিসেবে বেশ বেগ পেতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে অমিত মিত্র থাকলে এত কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়তো হতো না। এই কারণেই তাঁর অনুপস্থিতিতে এত বড় দপ্তরের দায়িত্ব আনকোরা কারো হাতে ছেড়ে দিতে চাইছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।