হাইকোর্টের রায়দানের পরই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তুঙ্গে সিবিআই-এর তৎপরতা, মেল পুলিশের ডিজি-কে
মেল মারফত খুন এবং ধর্ষণের মামলায় কেস ডায়েরি চাইল সিবিআই
গতকালই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রায়দান করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে মেল মারফত খুন এবং ধর্ষণের মামলায় কেস ডায়েরি চাইল সিবিআই। তবে ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশ মেনে ৪টি স্পেশাল ইন্টালিজেন্স টিমও গঠন করা হয়েছে। এখন তাঁরা শুধু কেস ডায়েরি হাতে পাওয়ার অপেক্ষা করছেন। এর পরেই তাঁরা প্রত্যেকটি অভিযোগের ভিত্তিতে আলাদা করে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করবেন বলেই সুত্রের খবর।
’২১ এর নির্বাচনী ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়লাভের পর থেকেই রাজ্যে বিরোধী কর্মীদের উপর শাসকদলের অত্যাচার চরমে উঠেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। তাঁদের ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে, খুন, ধর্ষণ কিছুই বাদ যায়নি বলে লাগাতার দাবী করে গেছিল বিরোধী পক্ষ। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তাঁরা রিপোর্টে দাবী করেন, ভোট পরবর্তী হিংসা ঠেকানোর জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহন করেনি রাজ্য প্রশাসন। যদিও মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্ট, রাজনৈতিক মদতপুষ্ট বলেই দাবী করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
তবে এবার হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, খুন, ধর্ষণ সংক্রান্ত গুরুতর অভিযোগগুলির তদন্ত করবে সিবিআই। অপরদিকে কম গুরুত্বপূর্ণ মামলার ক্ষেত্রে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করতে হবে। রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমাও তাঁরা বেঁধে দিয়েছেন ৬ সপ্তাহে। গতকাল হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরেই সিবিআই-এর আধিকারিকেরা বৈঠক করেন নিজাম প্যালেসে। সেই বৈঠকের পরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে মেল করার সিদ্ধান্ত নেন সিবিআই অধিকর্তারা।
এর মাঝেই খবর পাওয়া যাচ্ছে, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য। নবান্ন সুত্রে খবর, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে বেশ কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে রাজ্য সরকার। সর্বোচ্চ আদালতে ইতিমধ্যেই ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন মামলাকারী আইনজীবী, অনিন্দ্যসুন্দর দাস।