করোনার মাঝেও মোদি প্রচার অব্যাহত বাংলায়, তবে জনসভায় করোনা বিধি পালনের আশ্বাস বিজেপির
মোদির সভাস্থলে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও স্যানিটাইজার রাখা হবে
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন জোরকদমে চলছে। ইতিমধ্যেই পাঁচ দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়েছে আর তিন দফা নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচনের মাঝে বাংলায় করোনার প্রাদুর্ভাব উদ্বেগে ফেলেছে গোটা রাজ্যবাসীকে। প্রায় প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতায় রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে। তবে ভোট পরিস্থিতিতে করোনার মাঝেও রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি প্রচার করছে। রাজ্যের জেলায় জেলায় রাজনৈতিক দলের প্রচারের জন্য মাস্ক ছাড়া সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করে মেলামেশা করছে মানুষ। আর তাতেই সংক্রমণের গ্রাফ রকেট গতিতে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল জানিয়ে দিয়েছেন যে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে তৃণমূল কলকাতা শহরে আর কোন বিশাল জনসভা করবে না। এছাড়া বাকি সমস্ত জায়গায় বক্তৃতা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত হবে। তবে নিজেদের সূচি পরিবর্তন করতে নারাজ গেরুয়া শিবির। পূর্ব প্রস্তাবিত সূচি মেনেই নরেন্দ্র মোদির কর্মসূচি আয়োজিত হবে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দুদিনে ৪ টি সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি পরিবর্তন করে একদিনে করা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলে যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়। এই প্রসঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয় একটি টুইট করে লিখেছেন, "করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভার রূপ বদল করে দেওয়া হয়। সামাজিক দূরত্ব বিধিতে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।" এছাড়াও সভাস্থলে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও স্যানিটাইজার রাখা হবে। সভার আগে গোটা এলাকা স্যানিটাইজ করা হবে। এছাড়া উপস্থিত জনতা মাস্ক পরছে নাকি তা দেখার জন্য উপস্থিত থাকবে স্বেচ্ছাসেবক দল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে দৈনিক সংক্রমণ সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। শুধুমাত্র গতকাল সংক্রমণ হয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৫১০ জনের। বাংলাতে গতকাল সংক্রমণ হয়েছে ৮ হাজার ৪১৯ জনের। করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা ব্যক্ত করে তৃণমূল সুপ্রিমো গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লিখেছেন।