টাকা বিলির অভিযোগ ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে, লাগাতার তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় রণক্ষেত্র মেদিনীপুর
কেশপুরে একজন তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে
বুধবার রাত থেকে হিংসা শুরু হয়েছিল এবং বৃহস্পতিবার সকালে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর আসতে শুরু করলো। রক্তপাত, এবং সংঘর্ষ ভোটদানের পরিমাণের ওপর কিন্তু প্রভাব ফেলতে পারেনি। পরিসংখ্যান বলছে ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। তবে এবারের ভোটে ঘটেছে বেশ কিছু খন্ড যুদ্ধ। খড়গপুর সদর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে ভোটারদের মারধরের অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী বিদায়ী বিধায়ক প্রদীপ সরকার। প্রদীপ সরকার বলেছিলেন, "এ ব্যাপারে যদি কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় তাহলে আমি থানার সামনে ধর্না করতে বসবো।"
তবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সব থেকে বড় ঘটনাটি ঘটেছে কেশপুরে। কেশপুরে বুধবার রাতে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। রাত ১১ টা নাগাদ কেশপুর ব্লক এর ৪ নম্বর অঞ্চলের অন্তর্গত দাদপুর গ্রামের হরিহর চক এলাকায় তৃণমূল কর্মী উত্তম দলুই খিচুড়ি মেরে খুন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে কেশপুরের পৃথকভাবে হামলা হয়েছে বিজেপি প্রার্থী প্রীতিশ রঞ্জন কোনারের ওপরে। পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছে সংবাদমাধ্যম। অন্যদিকে কেশপুরের তৃণমূল প্রার্থী শিউলি সাহার নির্বাচনী এজেন্ট হাবিবুর রহমানকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর ডেবরা বিধানসভার শানোরপুর, জালিবান্দা পূর্ব, জালিবান্দা পশ্চিম এবং রাধাকান্তপুর থেকে বিজেপি এবং তৃণমূল এর বেশ কিছু খন্ডযুদ্ধের অভিযোগ এসেছে। অন্যদিকে আবার টাকা বিলির অভিযোগ উঠেছে ডেবরার বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থী হুমায়ুন কবির দাবি করেছেন রাধাকান্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঢুকতে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাধা দিয়েছে। আবার ডেবরার বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে চকমানু প্রাথমিক বিদ্যালয় বুথে গিয়ে স্যানিটাইজার দিয়ে মানুষকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে এবারের বিধানসভার দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন কাটলো বেশি উত্তপ্ত।