বিজেপিকে রোখার জন্য এবারে রাস্তায় নামছেন নাট্যকর্মীরা, ঘোষণা ব্রাত্য এবং অর্পিতার
শুধু এই ঘোষণা নয়, এদিন ব্রাত্য বসু এবং অর্পিতা ঘোষ এর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বহু নাট্যব্যক্তিত্ব।
ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলার সংস্কৃতির বিরোধী। তারা বাংলায় অন্য সংস্কৃতির প্রচারের চেষ্টা করছে যা বাঙালির মতের সাথে মেলেনা। এরকম ভাষাতেই আজ গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন নাট্যকর্মীরা। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। দুজনেই নাট্যজগতে যুক্ত হওয়ার কারণে নাট্যকর্মীদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। ব্রাত্য বসু জানাচ্ছেন, বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি বিরোধী। বিজেপি সরকার কোনদিনও শিল্প-সংস্কৃতির পাশে দাঁড়ায়নি এবং তারা বাংলায় অন্য সংস্কৃতির প্রচারের চেষ্টা করবেন। তাদের সেই প্রয়াসের বিরুদ্ধে নাট্যকর্মীরা একজোট হয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাবেন। প্রতিটি জেলায় নাট্যকর্মীদের নিয়ে তৃণমূল সম্মেলন করা হবে। এছাড়াও আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে। ব্রাত্য বসু বলছেন, "মানুষের কথা তুলে ধরতে ২০১১ সাল থেকে আমরা পথনাটক করি। আর ২০২১ সালেও বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহু নাট্যব্যক্তিত্ব রাস্তায় নামবে।"
ব্রাত্য এদিন জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময়ে নাট্য সংস্কৃতি ক্ষেত্রে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, "২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে নাটক এবং সংস্কৃতির জন্য কিছুই করেনি মোদি সরকার। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৪০০ এর বেশি নাটকের দল কে সরকারি অনুদান দিয়েছেন।" শুধু এই ঘোষণা নয়, এদিন ব্রাত্য বসু এবং অর্পিতা ঘোষ এর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বহু নাট্যব্যক্তিত্ব। এদের মধ্যে আছেন শেখর সমাদ্দার, গৌতম মুখোপাধ্যায়, বিজয় মুখোপাধ্যায়, দেবাশীষ দত্ত এবং রুদ্র প্রসাদ চক্রবর্তী। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ব্রাত্য বলেছেন, "অনেকে বিজেপির পতাকা ধরিয়েছেন। বিজেপি নেতাদের বলছি, একজন গুরুত্বপূর্ণ নাট্যব্যক্তিত্বকে বিজেপিতে নিয়ে গিয়ে দেখান।" অন্যদিকে অর্পিতা ঘোষ বললেন, "পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যখন বাম সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল তখন রাস্তায় নেমেছিলেন নাটকের ব্যক্তিত্বরা। আজকে আবার বিজেপির বিরুদ্ধে তারা সরব হয়েছেন। বাংলার সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এবং বাংলার মানুষের শিরদাঁড়া সোজা রাখার জন্য আবারো দাঁড়িয়ে থাকবে নাটকের মানুষেরা।"