আবেগের আর এক নাম অরিজিৎ সিং, পুরনো স্কুলে গিয়ে ইংরেজির শিক্ষিকাকে পা ছুঁয়ে প্রণাম
পরণে সাধারণ টি-শার্ট, পায়ে হাওয়াই চটি, প্রিয় ইংরেজির দিদিমণিকে দেখেই পা ছুঁয়ে প্রণাম
ইংরেজিতে একটি কথা আছে 'ডাউন টু আর্থ'। কথাটি যে গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের ক্ষেত্রে একশো শতাংশ প্রযোজ্য, ফের তা প্রমাণিত। নিজের ছোটবেলার স্কুলে এসে ইংরেজি শিক্ষিকাকে সামনে পেয়ে ছুটে গিয়ে পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। নিজের তথাকথিত 'স্টার ফেম' মুহূর্তেই ধূলিস্যাৎ, যেন তিনি মাটির মানুষ। চোখে-মুখে সহজাত আলোর দীপ্তি।
সম্প্রতি নেটমাধ্যমে দু'টি ছবি ভাইরাল হয়েছে। গায়ক অরিজিৎ সিং একজনের পায়ের কাছে হাঁটুমুড়ে বসে। অরিজিৎ সিংয়ের মাথায় হাত যেন মায়ের পরশ। আবেগে ভাসছে নেট দুনিয়া। গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের এমন মায়াভরা ছবি দেখে আপ্লুত সকলেই। এত বড় মাপের মানুষ যে কতটা বড় মনের, এই প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার নানা ঘটনায় মানুষ তা প্রত্যক্ষ করেছেন।
কর্মসূত্রে তাঁকে মুম্বইয়ে থাকতে হয় ঠিকই, অরিজিৎ সিংয়ের মন কিন্তু মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে পড়ে আছে। বিভিন্ন জায়গায় নিজেই তিনি সেকথা স্বীকার করেছেন। আর জিয়াগঞ্জ এলে তো কথাই নেই। আপনভোলা মানুষটি বেরিয়ে পড়েন নিজের প্রিয় সবকিছুর খোঁজে। কখনও পুরনো দু'চাকা সাইকেলে, কখনও মোটর বাইকে চরকি কাটেন। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে জমাটি আড্ডা, সেই ছোটবেলায় যেন আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া। নিজের কাজের প্রতি সততার সঙ্গে নিজের জীবনচর্চায়ও ষোলআনা ভরপুর আনন্দ।
সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার নিজের পুরনো স্কুল রাজা বিজয় সিংহ বিদ্যামন্দিরে হাজির অরিজিৎ সিং। ঢুকেই দেখতে পান ইংরেজির শিক্ষিকা সুনীতা লাহিড়ী। যাঁর কাছে অরিজিৎ সিং পড়েছেন। দেখেই সটান দৌড়ে গিয়ে প্রণাম। সে এক আবেগঘন মুহূর্ত। সাধারণ টি-শার্ট, হাওয়াই চটি পরে উপস্থিত নিজের পুরনো স্কুলে। সেই চেনা ছন্দ, সেই যেন আদ্যপান্ত আগের মানুষ।