আনিস খুনে প্রশাসনিক সক্রিয়তা, বরখাস্ত আমতা থানার তিন পুলিশকর্মী
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গতকালই তিন সদস্যের সিট গঠন করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি
যুব ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যাকে (Anish Khan murder) কেন্দ্র বেশ কিছুদিন ধরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পর পুলিশ-প্রশাসনের তরফে লক্ষ্য করা গিয়েছে অতিসক্রিয়তা। ইতিমধ্যেই গঠন হয়েছে তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। আর তদন্তের প্রথম ধাপেই বরখাস্ত করা হল আমতা (Amta) থানার তিন পুলিশকর্মীকে।
জানা গিয়েছে, আনিস খুনের রাতে পুলিশের তরফে যা করার ছিল, তার কিছুই করেননি পুলিশকর্মীরা। সেজন্য আমতা থানার এক এএসআই (ASI), একজন কনস্টেবল এবং এক হোমগার্ডকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধেও দ্রুত তদন্ত শুরু করা হবে বলেই খবর সূত্রের।
উল্লেখ্য, আনিস হত্যাকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বিকালের মধ্যেই তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। রাতে সেই দল পৌঁছে যায় আমতায়। আর তারপরেই বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
ফেব্রুয়ারির ১৮ তারিখ আনিস খানের সারদা’র বাড়িতে পুলিশের পোশাক পরে পৌঁছায় কিছু দুষ্কৃতী। তারা আনিস খানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন করে বলে ওঠে অভিযোগ। আর এই বিষয়কে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বিতর্ক বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছে অন্য রাজ্যগুলিতেও। তাই এমন স্পর্শকাতর বিষয়কে কোনোভাবেই হাল্কা নিতে রাজি নয় প্রশাসন। যত দ্রুত সম্ভব স্বচ্ছ তদন্ত এবং অপরাধী খুঁজে বের করার জন্যই গঠন হয়েছে সিট। তবে এর মাঝেও আনিস খানের বাবা, ছেলের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবী জানিয়েছেন।