অশোকনগর এবং মঙ্গলকোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ, অস্বীকার কমিশনের
ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল অশোকনগর
ষষ্ঠ দফা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর তো ছিলই, এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। যদিও কমিশনের তরফে এই অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে। অশোকনগর ও আমডাঙা বিধানসভার সীমান্তবর্তী এলাকায় অশান্তি ঠেকাতে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। একইভাবে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটেও নাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছে। যদিও দুটি ক্ষেত্রেই এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন স্পষ্টতই জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী কোন গুলি চালায় নেই। উল্লেখ্য, পঞ্চম দফায় উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠে এসেছিল, যদিও সবক্ষেত্রেই অভিযোগ খারিজ করেছে কমিশন।
বিশেষ সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের টেংরা সীমান্তবর্তী এলাকায় ভোটের দিন তৃণমূল-বিজেপি মধ্যে সংঘর্ষ লাগে। দু'পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি হয় বলে খবর। এমনকি ভোট কর্মীদের বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। ঘটনার সূত্রপাত সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ। অশোকনগরের বিজেপি প্রার্থী তনুজা চক্রবর্তী ৭৯ ও ৮০ নম্বর বুথের সামনে এলে তাঁকে ঘিরে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ভোটকেন্দ্রের পাশে বোমাবাজি চলতে থাকে বলে স্থানীয়দের বক্তব্য। পরিস্থতি সামাল দিতে এবং দুষ্কৃতীদের ধরতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নাকি তখন গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূল প্রার্থী নারায়ণ গোস্বামী চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন যে কেন্দ্র বাহিনী গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালিয়েছে। দু'জন তৃণমূল কর্মীর পায়ে গুলি লেগেছে বলে খবর। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ এসেছে।