চাঁদার জুলুমবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর
থানার পাশেই পুজোর চাঁদা তোলার অভিযোগ, বিতর্ক তুঙ্গে
পুজো এলেই গোটা বাংলা জুড়ে শুরু হয় খুশির আনন্দ। চলতে থাকে কেনাকাটা। বিভিন্ন প্যান্ডেলে নতুন থিম পুজো কিংবা একে অপর পুজো কমিটিকে টেক্কা দেওয়ার তোড়জোড়। সেই সঙ্গে যে বিষয়টি নিয়ে আমজনতা জেরবার হয়ে ওঠেন তা হল পুজোর চাঁদা। তা-ও আবার লাগামছাড়া। না দিতে হুমকি কিংবা অপমানসূচক কথাবার্তা। অথচ গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্য সরকার পুজো কমিটি গুলোকে বড় অঙ্কের অর্থ সাহায্য করেই চলেছে। তারপরও পুজো কমিটি গুলোর পুজোর চাঁদার নামে দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না, বলছেন আমজনতার একাংশ।
এবার পুজোর চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। তা-ও আবার রীতিমত চেয়ার খাটিয়ে থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বের মধ্যে। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির। চাঁদার দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ এমনটাই অভিযোগ করেছেন। ধূপগুড়ি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুজাতা দে সরকারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত কাউন্সিলর সন্ধ্যা নামতেই রাস্তার মাঝে চেয়ার পেতে চাঁদা তুলছেন। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, থানার পাশেই চলছে চাঁদার জুলুমবাজি, অথচ নির্বিকার পুলিশ।
বিভিন্ন পুজো এলেই চাঁদা তোলার হিড়িক শুরু হয়। কখনও রাস্তা আটকে চলে চাঁদা তোলার জুলুমবাজি, আবার কখনও বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তোলেন পুজো উদ্যোক্তাদের একাংশ। অনেক সময় সাধারণ মানুষকে চাঁদা দিতে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ। তবে এক্ষেত্রে ধূপগুড়ির ঘটনায় স্বয়ং এক ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চাঁদা তুলছেন দেখে প্রশ্ন তুলেছেন আমজনতা। তা-ও আবার থানার পাশেই ঘটছে এমন ঘটনা বলেও অভিযোগ। তারপরও প্রশাসনের তরফে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন ধূপগুড়ির বাসিন্দাদের একাংশ। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দার কথায়, "পুজো এলেই চাঁদা তোলার জুলুমবাজি শুরু হয়। সরকার তো পুজো কমিটিদের অর্থ সাহায্য করছে, তারপরও সাধারণ মানুষদের হয়রানির কারণ কী? শাসক দলের ছত্রছায়ায় এ ঘটনা অহরহ ঘটছেই। আর প্রশাসন সব দেখেও না দেখার ভান করছে। এই অনৈতিক কাজ মেনে নেওয়া যায় না।" যদিও অভিযুক্তের সাফাই, কাউকে জোর করা হচ্ছে না। খুশি মনে যে যাই দিচ্ছে, তাই নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রাস্তা আটক করে চাঁদা তোলা যে বেআইনি সে নিয়ে কারোর মাথা ব্যথা নেই বলছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।