পুজোর দিনগুলিতে স্বাভাবিক সময় পর্যন্তই খোলা থাকবে দোকান-বাজার, রেস্টুরেন্ট : নবান্ন
লকডাউনের কড়াকড়ি আরও শিথিল করল নবান্ন
আজ চতুর্থী। অর্থাৎ, পুজোর আর বাকি নেই বললেই চলে। এর মাঝেই দোকান, রেস্তোরাঁ, বার-মালিকদের জন্য সুখবর শোনাল নবান্ন। আগামী ১০ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত থাকছে না দোকান-পাট বন্ধ থাকার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা। আগের মতো স্বাভাবিক সময় পর্যন্তই খোলা থাকবে দোকান, রেস্টুরেন্ট, বার। শনিবার এমনই নির্দেশিকা জারি করা হল নবান্নের তরফ থেকে। প্রচলিত নিয়ম মেনে বেশি রাত পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে বারগুলিও, এমনটাই জানা গিয়েছে নবান্ন মারফত।
করোনার বাড়বাড়ন্ত রোধ করার জন্য এতদিন পর্যন্ত কড়া নিয়মকানুনের নির্দেশিকা জারি ছিল এরাজ্যে। রাত ১১ টা পর্যন্তই সমস্ত দোকান-পাট খোলা থাকার অনুমতি ছিল এতদিন। রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত চলত নাইট কার্ফু। কোনও অত্যাবশ্যকীয় কাজ ছাড়া সেই সময়ে বাড়ির বাইরে বেরোনোর অনুমতি মিলত না। যদিও তার জেরে অনেক সুফলও পেয়েছে বাংলা। বর্তমানে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে। তার মধ্যেই দুর্গাপুজার কথা মাথায় রেখে বাজার-হাট খোলা রাখার এই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হল নবান্নের তরফ থেকে। পুজোর দিনগুলিতে দোকান খোলা-বন্ধ রাখার ক্ষেত্রে থাকবে না কোনও নিয়মকানুনের কড়াকড়ি। ১০ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত জারি থাকবে এই নতুন নিয়ম।
তবে নবান্নের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা আসার পর থেকেই কটাক্ষের বাণ ধেয়ে এসেছে একাদিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের তরফ থেকে। কেউ বলেছেন, তাহলে সরকারের কথানুযায়ী ১০ থেকে ২০ অক্টোবর করোনা ভাইরাস ‘ছুটি’তে যাবে, তো কারোর কথায়, পশ্চিমবঙ্গ থেকেই দেশে ছড়াবে করোনা মহামারীর তৃতীয় ঢেউ। উল্লেখ্য, দেশজুড়ে আবারও ঊর্ধ্বমুখী নতুন করে করোনায় আক্রান্তের গ্রাফ। সেই প্রভাব থেকে বাদ যায়নি এই রাজ্যও। আজকেই এরাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। যদিও আশার আলো জাগিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৬৯১ জন।