নাবালিকা কন্যাকে লাগাতার ধর্ষণ বাবার, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়তেই লোক জানাজানি, অবশেষে শাস্তি
মা ও মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি, তারপরও পিছু হটেননি তাঁরা
গত দু'বছর আগে সৎ বাবার হাতে লাগাতার ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন নাবালিকা। যার জেরে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন। অভিযোগ জানাতে গেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। দু'বছর পর নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হল গুণধর বাবা। আগামী ২০ অগাস্ট শাস্তি ঘোষণা করা হবে।
ঘটনাটি আসানসোলের জামুড়িয়া থানা এলাকার নতুন জামশোলের। এই এলাকার বাসিন্দা মিঠুন চিত্রকর। প্রথম পক্ষের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি আবার বিয়ে করেছিলেন। প্রথম পক্ষের একটি নাবালিকা কন্যা। অভিযোগ ওঠে বাবা মিঠুন চিত্রকর প্রথম পক্ষের মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ করে। যার জেরে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযোগ ওঠে বাবা মিঠুন চিত্রকর প্রথম পক্ষের মা ও মেয়েকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। যদিও ভয় না পেয়ে তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। সেই মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। দু'বছর পর সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন গুণধর বাবা।
প্রথম পক্ষের স্ত্রী বহুবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বাবার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পায়নি মেয়েও। বছর দুয়েক আগে একদিন নাবালিকা মেয়ের পেটে হঠাৎ-ই যন্ত্রণা ওঠে। ডাক্তারের কাছে যেতেই দেখা যায়, মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। তখনই প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনাটি। মেয়েটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আইন মেনে গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এতদিন পর বাবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যশায় মা ও মেয়ে।