প্রতি রাতে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীর উপর চলত যৌন নির্যাতন, শিক্ষকের কীর্তিতে তাজ্জব এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 18/03/2022   শেষ আপডেট: 18/03/2022 9:30 a.m.

প্রাথমিক শিক্ষকের এই কীর্তিতে চক্ষু চড়কগাছ এলাকাবাসীর, ঘটনায় ধৃত ১

রাত হলেই নেমে আসত নিজের স্ত্রীর প্রতি অমানবিক নির্যাতন। স্বামীর পুরুষ প্রেমিকের সঙ্গে সহবাসে বাধ্য করা হত। শুনে অবাস্তব মনে হলেও এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour)।

ঠিক কী ঘটেছিল? সূত্রের খবর, ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ধনঞ্জয় দাস। পেশায় তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মাস আটেক আগে ধনঞ্জয় দাসের সঙ্গে সেই নির্যাতিতার সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়। তাঁর বাপের বাড়ি ফলতার দিঘিরপাড় এলাকায়। বিয়ের সময় ধনঞ্জয় জানায় তার ভাইও সঙ্গে থাকে। প্রথমে ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পাননি এমন ঘৃণ্য অভিযোগের কথা। সেই নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন, বিয়ের পর থেকেই তাঁর স্বামী এবং স্বামীর প্রেমিক উভয়ে মিলে তাঁর সঙ্গে যৌন অত্যাচার চালাত। দিনের পর দিন এমন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সেই নির্যাতিতা বাপের বাড়ি চলে যান। আর এরপরেই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।

সূত্রের খবর, ধনঞ্জয় দাস উভকামী। বিয়ের আগে যাকে ভাই পরিচয় দিয়েছিলেন, তিনি আসলে ধনঞ্জয় দাসের প্রেমিক। বিয়ের পরেই সেই নির্যাতিতা স্বামীর আসল পরিচয় বুঝতে পারেন। গোটা ঘটনায় এলাকাবাসী তো থ। একজন শিক্ষক মানুষের এ হেন ঘৃণ্য আচরণ অনেকে বিশ্বাসই করতে চাইছেন না। ঘটনায় ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ শুভঙ্কর জানাকে গ্রেফতার করেছে। তিনি স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। ধৃতের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, ধর্ষণ-সহ একাধিক মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একজন শিক্ষক মানুষের এই কাজে প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ। যদিও পাল্টা ধনঞ্জয় দাস অভিযোগ করেছেন, তার স্ত্রী মানসিক রোগগ্রস্ত। সব সময়ই টাকা-পয়সা চাইত। না দেওয়ায় মিথ্যে অভিযোগে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।