স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় ২ কোটির বেশি মানুষ, ঘোষণা নবান্নের
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচির সূচনা করে এই প্রকল্প সকলের জন্য চালু করে দিয়েছিলেন
রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ২ কোটি পরিবারের কাছে। এবারে নবান্ন সূত্রে এটাই জানা গেল। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচির সূচনা করে এই প্রকল্প সকলের জন্য চালু করে দিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্প ইতিমধ্যেই ২ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। তার মধ্যে ৭৬ লক্ষ্য পরিবারই কর্মসূচিতে নাম লিখে ফেলেছেন। গত ২০১৭ সালে শুরু হয়েছিল স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। গত নভেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় এসেছিলেন ১.৪৩ কোটি পরিবার। তারপর শুরু করা হয় দুয়ারে সরকার প্রকল্প যেখানে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে ইতিমধ্যেই ৭৬ লক্ষ্য পরিবার। তবে এখনো পর্যন্ত সব পরিবারের কাছে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড গিয়ে পৌঁছায় নি।
এমত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সাথী আওতায় থাকলে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল এই প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছে না।এমন অভিযোগ প্রায় উঠেছে এবং রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে চিকিৎসার জন্য রোগীকে প্রত্যাখ্যান করা যাবে না। সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে মোট ২ হাজার ৪৭টি হাসপাতাল এই সুবিধা দিচ্ছে। শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬৪ হাজারের বেশি বেড। তাছাড়াও দেশজুড়ে একাধিক হাসপাতলে এই সুবিধা আপনারা পাবেন। এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের জন্য মোট ১ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। জানা যাচ্ছে এই মুহূর্তে ৫টি রোগের চিকিৎসা হয়েছে সব থেকে বেশি। তার মধ্যে রয়েছে জেনারেল মেডিসিন, জেনারেল সার্জারি, কার্ডিও থেরাপি এবং এন্ডোস্কপির মত রোগ।