দিলীপ ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় ১৬ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ
২৪ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন
বাংলার বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন ফের একবার হিংসার মুখ দেখল উত্তরবঙ্গ। গতকালই কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে সভা করে বেরোনোর সময় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কনভয় লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় দিলীপ ঘোষের গাড়ি এবং জখম হন তিনি নিজেও। আর এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে এমন সন্দেহে ইতিমধ্যেই ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একইসাথে, কমিশনে নালিশ জানানোর ২৪ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। এখানেই মোতায়েন হবে ছ'হাজার রাজ্য পুলিশ সহ ১৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
বুধবারের হামলার ঘটনায় আক্রান্ত দিলীপ ঘোষ নিজে মুখেই ব্যক্ত করেন, যে মাঠে তাঁর সভা হয়েছিল, সেখানেই আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী তাঁর উপর হামলা চালায়। তার কনভয় লক্ষ্য করে যে বোমাবাজি হয়েছে তাতে ক্ষতি হয়েছে তার গাড়ির। তার গাড়িতেও দুটি বোমা এসে পড়ে। একইসঙ্গে গাড়িকে লক্ষ্য করে ইঁটবৃষ্টিও হয়েছে এবং আধলা ইঁট মেরে গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ইটের ঘায়ে জখম হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গতকালই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অভিযুক্ত হামলাকারীদের শাস্তি চেয়ে কলকাতায় কমিশনের বাইরে বিজেপি নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে ধর্ণায় বসেন সৌমিত্র খাঁ। শুধুমাত্র দিলীপ ঘোষের ওপরই নয়, আক্রমণ চলেছে স্থানীয়দের ওপর। বিজেপি ও তৃণমূল দু-তরফ থেকেই পরস্পরের বিরুদ্ধে রাতভোর বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলে ছিল প্রায় দেড়শ জন। রাতভোর তল্লাশি চালিয়ে ১৬ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোচবিহারের এসপি দেবাশিস ধর।