"দুয়ারে সরকার" মডেলেই হবে ঘূর্ণিঝড় দুর্গতদের "দুয়ারে ত্রাণ", বরাদ্দ ১০০০ কোটি

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 28/05/2021   শেষ আপডেট: 28/05/2021 8:31 p.m.
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় instagram.com/mamataofficial

ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যের প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে

গত বুধবার সকালে বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে আছড়ে পড়েছিল সাইক্লোন যশ (Yaas Cyclone)। এই ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে গ্রামের পর গ্রাম জলের তলায় ডুবে গেছে। গতকাল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নবান্ন থেকে ঘোষণা করেছিলেন যে এই ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে রাজ্যের প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। তাই গতকালই তিনি ঘূর্ণিঝড় দুর্গতদের ক্ষতিপূরণের জন্য ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। মুখ্যমন্ত্রী গতকাল জানিয়ে দিয়েছেন যে এই টাকা সরাসরি প্রভাবিতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের মাধ্যমে। এই প্রকল্প তৃণমূল কংগ্রেসের সফল প্রজেক্ট দুয়ারে সরকারের আদলে হবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "বিভিন্ন ব্লক এবং পঞ্চায়েত লেভেলে সরকারি আধিকারিকরা আগামী ৩ জুন থেকে ১৮ জুন অব্দি ক্যাম্প করে বসবেন। সেখানে সাধারণ মানুষ এসে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তাদের ক্ষতির পরিমাণ লিখিত মাধ্যমে জমা দেবেন। সেই বিষয়ে ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন অব্দি রেইকি করবে সরকারি আধিকারিকরা। তারপর যদি সত্যিই দেখা যায় ঝড়ের কারণে ক্ষতি হয়েছে তাহলে ১ লা জুলাই থেকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে প্রভাবিতর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে যাবে।" মুখ্যমন্ত্রী বারংবার সাবধান করে দিয়েছেন যাতে কোথাও কেউ ক্ষতিপূরণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ এবং রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে ঝড়ের কারণে যদি কারোর ক্ষতি হয় তাদের সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার।

এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভাঙা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি অর্থ দপ্তরকে একাধিক ব্রিজ, রাস্তা এবং বাঁধ ভাঙার কারণ সম্বন্ধে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আসলে মাত্র এক বছর আগেই আমফানের পর সমস্ত বাঁধ, ব্রীজ এবং রাস্তা নতুন করে তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু যশ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আবার সব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তাই সেই সব বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী মনে করা হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ৩ লাখ মানুষের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ১.৬ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি জলের তলায় ডুবেছে।