দৈনিক সংক্রমণ কমলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যুহার
লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, রাজধানী দিল্লিতেও মৃতের সংখ্যা বাড়ল
গত কয়েকদিন দেশে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। টানা ১৩ দিন পর মঙ্গলবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একটু কমল, যদিও মৃত্যুহার ক্রমবর্ধমান। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই লক্ষের বেশি। গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ১৭০০ র বেশি করোনা আক্রান্ত মানুষ। করোনার বাড়বাড়ন্তে মঙ্গলবার সংক্রমণে কিছুটা স্বস্তি দিল বলে সূত্রে খবর।
সোমবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৭৩ হাজারের বেশি। সে তুলনায় মঙ্গলবার ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন, সোমবারে তুলনায় প্রায় ১৪ হাজার কম। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় বলি হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ জন। এ নিয়ে গোটা দেশে করোনায় প্রাণ কাড়ল ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৩০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় কেবল মহারাষ্ট্রের মারা গিয়েছেন ৩৫১ জন। দিল্লিতে দৈনিক মৃত্যু ২৪০ ছাড়িয়েছে।
প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১ লক্ষের বেশি সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তিনি এখন গোটা দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২০ লক্ষ অতিক্রম করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৭৬১ জন মানুষ। এখনো পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৩১ লক্ষ ৮ হাজার ৫৮১ জন করোনা মুক্ত হয়েছেন। টিকা পেয়েছেন প্রায় ১২ কোটি ৭১ লক্ষের বেশি মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গের চিত্র ভয়াবহ। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজারের বেশি মানুষ, সংখ্যা ৩৮।
দেশজুড়ে করোনার নতুন স্ট্রেন আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠেছে। হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না, মিলছে না পর্যাপ্ত অক্সিজেন বলে খবর। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক টিকাকরণের ওপর জোর দিয়েছেন। গতকালই কেন্দ্র সরকার ঘোষণা করেছেন ১ মে থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকলকেই টিকা দেওয়া হবে। টিকার অপ্রতুলতায় কিভাবে তা দেওয়া সম্ভব সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিকাকরণের পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষার উপরও জোর দিয়েছেন। শুধু সংক্রমণ বৃদ্ধি নয়, করোনার নতুন স্ট্রেন আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠেছে।