পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ছ'মাসে ছ'বার ধর্ষণকারী প্রিন্সিপালের ফাঁসির নির্দেশ দিল আদালত
শাস্তি হয়েছে ধর্ষণে ইন্ধন জোগানো শিক্ষকেরও
আবারো নৃশংসতার চরম রূপ দেখলো দেশ। এবার বিহারে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ভুলিয়ে ভালিয়ে স্কুলের প্রিন্সিপাল রুমে নিয়ে গিয়ে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। আদালত সমস্ত ঘটনা শুনে দোষীর ফাঁসি অর্থাৎ মৃত্যুদন্ড ছাড়া আর কোনো সাজাই ভাবতে পারেনি। এই নারকীয়তায় ইন্ধন জোগানো শিক্ষকদেরও মোটা অঙ্কের জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল বিহারের ওই স্কুলে? জানা গেছে ঘটনাটি আরও দু'বছর আগের, অর্থাৎ ২০১৮ সালের। এক শিক্ষক ওই পঞ্চাম শ্রেণীর ছাত্রীকে বলে প্রিন্সিপালের রুমে যেতে কারণ উনি ওই ছাত্রীর খাতা চেক করছেন তাই ডেকেছেন। প্রিন্সিপালের ঘরে গেলে পাশবিক অত্যাচার চালান ওই প্রিন্সিপাল। এভাবেই একদিন নয়, ছ'মাসে ছবার নানা ছুতোয় তাকে ওই রুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করতেন প্রিন্সিপাল আর তাকে সহায়তা করতেন আরও এক শিক্ষক। ছ'মাস পর নানারকম লক্ষণ দেখে মেয়েটিকে চিকিৎসকের কাছে নিলে তাকে গর্ভবতী বলে ঘোষণা করা হয় এবং শারিরীক নির্যাতনের বিষয়ও প্রকাশ্যে আসে। আদালতের অনুমতি নিয়ে গর্ভপাত করা হয় ছাত্রীটির। ধর্ষক প্রিন্সিপালকে মৃত্যুদন্ড সহ ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ইন্ধন জোগানো ওই শিক্ষককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে যা পৌঁছে যাবে ওই ছাত্রীর কাছেই।