মুম্বাইতে সিভিল সোসাইটি মেম্বারদের সাথে মিটিংয়ে মমতা
বৈঠকে রয়েছেন জাভেদ আখতার, মহেশ ভাট-সহ একাধিক কলাকুশলী এবং প্রসিদ্ধ সাংবাদিক
বুধবার দেশের বানিজ্যনগরীতে একাধিক প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বের সাথে বৈঠক করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারিমান পয়েন্টের ওয়াইবি চাভান সেন্টারে সংঘটিত এই বৈঠকে রয়েছে জাভেদ আখতার থেকে শুরু করে মহেশ ভাট, পবন ভার্মা, প্রীতিশ নন্দি-সহ একাধিক প্রসিদ্ধ কলাকার এবং সাংবাদিক।
এদিনের বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে কথা হয় দুপক্ষের। তার মধ্যে দেশের আভ্যন্তরীণ সংহতি থেকে শুরু করে চিনের আগ্রাসন, সব বিষয়ই মজুত ছিল। তবে বৈঠক থেকেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করতে শোনা গেল এদিন মমতাকে। তার মুখে শোনা গেল, ‘বিজেপি হাটাও, দেশ বাঁচাও’-এর মতো স্লোগান। প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি দেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেন। এছাড়াও শিক্ষা, বাংলার সংস্কৃতি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকল্প, হিন্দু-মুসলিম-শিখ-ইসাইয়ের মধ্যে ধর্মীয় একতা নিয়েও সওয়াল-জবাব চলে আজকের বৈঠকে। ভারতজয়ের মূলদণ্ড যে ধর্মীয় ঐক্য, তার স্পষ্ট ছাপ ছিল এদিন মমতার জবাবে। দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে? সেই জবাবে মমতা বলেন, 'লড়াইটা কেবল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য না। এটা গণতন্ত্রকে বাঁচানোর লড়াই। সময় আসলে এমনিতেই বোঝা যাবে, কে বসবেন প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে। এখন একমাত্র লক্ষ্য বিজেপিকে বোল্ড আউট করা'। ‘জয় মহারাষ্ট্র, জয় বাংলা’ বলে আজকের বৈঠক শেষ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
জাতীয় রাজনীতিতে ধীরে ধীরে নিজের পায়ের তলার জমি শক্ত করে নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শুধু সাধারন দেশবাসী নয়, একাধিক বিষয়ের তারকাদেরও স্বপক্ষে রাখার দিকে একধাপ এগিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর সে জন্যই যে দেশের ব্যস্ততম শহরে আজকের এই তারকাখচিত বৈঠক সারলেন তিনি, তা বলাই বাহুল্য। এরপর এনসিপি-র প্রবীণ রাজনীতিবিদ শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। দু’দিনের মুম্বাই সফরে গিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি যতটা সম্ভব আগিয়ে রাখতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।