রেলের উন্নয়নে সরকার দায়বদ্ধ, তাই কখনোই সম্পূর্ণ বেসরকারি হবেনা রেল : পীযূষ গোয়েল
বাংলায় রেলের উন্নয়নে বাংলার সরকারই প্রধান অন্তরায়, কটাক্ষ রেলমন্ত্রীর
রেলের বেসরকারিকরণ প্রসঙ্গে সংসদে আজ সরব হলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে সমগ্র দেশ জুড়ে ১৫১ টি ট্রেন প্রাইভেট সংস্থার হাতে অর্পন করেছে মোদী সরকার। রেলের বেশ কিছু অব্যবহিত জমি, স্টেশনকে তুলে দেওয়া হয়ে বেসরকারি সংস্থার কাছে। বাজারে ছাড়া হয়েছে আইআরসিটিসি-র শেয়ার। বিরোধীদের নানাবিধ প্রশ্নের জবাবে আজ সংসদে স্পষ্ট বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতীয় রেল প্রত্যেক ভারতবাসীর সম্পদ।তাই রেলের কখনওই সম্পূর্ণ বেসরকারিকরণ হবে না। রেল আগামী দিনেও সরকারের হাতেই থাকবে। তাহলে কেন এই বেসরকারিকরণ? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সংস্কারসাধন ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র পরস্পরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। সরকার রেলের প্রতি কতটা দায়বদ্ধ তা বোঝাতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রেলের জন্য ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর এই বছর তা বাড়িয়ে হয়েছে ২.১৫ লক্ষ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, রেলের প্রসঙ্গে বাংলার রেলের উন্নয়নে বাংলার সরকারের অসহযোগিতাকে দায়ী করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাহায্য পেলে প্রয়োজনীয় অর্থ মজুত করা হবে বাংলার রেল প্রকল্পে। ৪৫ বছর আগে শুরু হয়ে আটকে থাকা একটি প্রকল্পের উল্লেখ করে বলেন, "জরুরি অবস্থায় ১৯৭৪-৭৫ সালে হাওড়া-আমতা-বড়গাছিয়া-তারকেশ্বর-বাগনান একটি রেল প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছিল। ১১০ কিলোমিটার এই প্রকল্পের মাত্র ৪২ কিলোমিটার কাজ হয়েছে। কিন্তু বাকি অংশের জন্য জমি পাওয়া যাচ্ছে না।" আরও বলেন তিনি মুম্বাইয়ের অধিবাসী, তাই বলে সব প্রকল্প মুম্বাইয়ের জন্য ঘোষণা করেন এমনটা নয়। ২০০৯-১২ সালের মধ্যে সাতটা নতুন লাইন ও ডাবলিং-এর জন্য আট দশটি প্রকল্প ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। আবারো বলেন, বাংলা সরকারের গাফিলতিই কাজে অনগ্রসরতার মূল কারণ।